Diabetes Control Tips

রক্তে শর্করার মাত্রা কমছে না? রাতে খাওয়ার সময় অজান্তেই যে ৫ ভুল করে ফেলেন ডায়াবেটিকরা

মিষ্টিরই একমাত্র দোষ নয়, ডায়াবিটিসের নেপথ্যে রয়েছে আরও অনেক কারণ। রাতের খাবার সময়ও অনেকে এমন কিছু ভুল অজান্তেই করে বসেন, যার ফলে শর্করার মাত্রা এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪২
রাতের খাবারের সময় কোন ৫ ভুলে বেড়ে যায় সুগার?

রাতের খাবারের সময় কোন ৫ ভুলে বেড়ে যায় সুগার? ছবি: এআই।

উৎসবের সঙ্গে মিষ্টিমুখের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। মিষ্টি না খেলে উৎসব অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সামনেই বড় দিন আর নতুন বছর। শহর আবার সেজে উঠেছে উৎসবের মোড়কে। তবে যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা সবে বিপদসীমা পেরিয়েছে, কেক, মিষ্টি, পিঠে খাওয়ার আগে তাঁদের মনে একটা দুর্ভাবনা তৈরি হয়। মিষ্টি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এটা সত্যি। মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা ডায়াবিটিসের কারণ। তবে মিষ্টিরই একমাত্র দোষ নয়। ডায়াবিটিসের নেপথ্যে রয়েছে আরও অনেক কারণ। রাতের খাবার সময়ও অনেকে এমন কিছু ভুল অজান্তেই করে বসেন, যার ফলে শর্করার মাত্রা এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়।

Advertisement

রাতে বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং শারীরিক কার্যকলাপ কমে আসে। ফলে, অতিরিক্ত গ্লুকোজ রক্তপ্রবাহে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও দুর্বল করতে দেয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং পরের দিন সকালে ‘গ্লুকোজ় ফাস্টিং টেস্টের’ মাত্রা অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। জেনে নিন রাতের খাবারের সময় ডায়াবিটিসের রোগীরা কী কী মাথায় রাখবেন?

১) সাদা ভাত, ময়দার তৈরি রুটি, নান, কুলচা, পাস্তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটা বেশি। এই খাবারগুলি থেকে গ্লুকোজ় খুব সহজেই রক্তে মিশে যায়। ফলে, রক্তের শর্করার মাত্রা এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়। রাতে শরীরে শক্তির খরচও কম, তাই রক্তের এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ় অতিরিক্ত ইনসুলিন ক্ষরণের দাবি করে।

২) আলু কিংবা যে কোনও ভাজাভুজি রাতের বেলা না খাওয়াই ভাল। পরিশোধিত শর্করা আর অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ দিন রাতে এই সব খাবার খেতে থাকলে শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বেড়ে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিকদের জন্য মোটেই ভাল কথা নয়।

৩) অনেক রান্নাতেই মিষ্টি সসের ব্যবহার হয়। টম্যাটো সস্, সুইট চিলি সস্, হানি বেস্‌ড সসে ভরপুর মাত্রায় চিনি থাকে। রেস্তরাঁয় অনেক সময় বিভিন্ন গ্রেভি তৈরির সময় স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ভাল মাত্রায় চিনির ব্যবহার করা হয়। এই সব সস্, গ্রেভি দিয়ে তৈরি খাবার ডায়াবেটিক রোগীরা রাতের বেলা এড়িয়ে চলুন।

৪) রাতে খাবার পর অনেকেরই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে। শীতের মরসুমে নলেন গুড়ের মিষ্টি, রকমারি কেক-পেস্ট্রি যেন হাতছানি দেয়। তবে রাতের বেলা ডায়াবেটিক রোগীদের সেই লোভ সংবরণ করাই শ্রেয়।

৫) যে কোনও ক্যা‌ন্‌ড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে রাতের বেলা রক্তে শর্করার মাত্রা চটজলদি অনেকটা বেড়ে যায়। তাই এই খাবারগুলি থেকেও দূরে থাকতে হবে ডায়াবেটিকদের।

Advertisement
আরও পড়ুন