monsoon health tips

বর্ষায় জলবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে, আক্রান্ত হলে সেরে উঠতে সাহায্য করবে ৫ পরামর্শ

জলবাহিত রোগের আক্রমণ থেকে সব সময় সুরক্ষিত থাকা যায় না। বর্ষায় ডায়েরিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৬:১০
Follow these 5 essential tips to recover quickly from waterborne illnesses during the monsoon

প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।

বর্ষার মরসুমে খাবার এবং জলবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। তার মধ্যে পেট ব্যথা, আমাশা, টাইফয়েড রয়েছে। আবার খাবার জনিত সংক্রমণ থেকেও শরীর অসুস্থ হতে পারে। যদিও সঠিক খাবার এবং শরীরে জলের ভারসাম্যে অনেক সময়েই এই সব রোগ থেকে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

Advertisement

রোগের মোকাবিলায় যা নজরে রাখা দরকার—

১) দেহে জলের ভারসাম্য: জলবাহিত রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। তাই শরীর খারাপ হলে, নির্দিষ্ট সময়ান্তরে জল পান করা উচিত। পাশাপাশি, নুন-চিনির শরবত বা ডাবের জল খেলে দ্রুত শরীরে জলশূন্যতা দূর হয়।

২) হালকা খাবার: জল বাহিত রোগের ক্ষেত্রে পেটের উপর চাপ তৈরি হয়। পৌষ্টিকতন্ত্রের উপর বেশি চাপ দেওয়া উচিত নয়। তাই দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য হালকা খাবার খাওয়া উচিত। অল্প অল্প খাবার বার বার খেলে পেট ভর্তি থাকবে অথচ হজমের সমস্যা হবে না।

৩) ফল এবং সব্জি: রোগ থেকে সেরে ওঠার জন্য জলের পরিমাণ বেশি, এ রকম ফল ও সব্জি বেশি করে খাওয়া উচিত। পেঁপে, তরমুজ, আঙুর খাওয়া যেতে পারে। সব্জির মধ্যে কুমড়ো, লাউ এবং শশা পেটের পক্ষে খুবই উপকারী।

৪) খনিজ এবং পুষ্টির ভাসাম্য: বমি বা বার বার মলত্যাগের মাধ্যমে শরীর থেকে ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের জন্য কলা এবং পালং শাক খাওয়া যেতে পারে। স্যুপ জাতীয় খাবার পেটের উপর চাপ সৃষ্টি করবে না। পাশাপাশি, শরীরে পুষ্টি উপাদানের অভাব ঘটবে না।

৫) পানীয় নির্বাচন: মদ্যপান, চা বা কফি শরীরে অনেকাংশে জলশূন্যতা তৈরি করে। শরীর খারাপের দিনে এই ধরনের পানীয় থেকে দূরে থাকা উচিত। সেরে ওঠার পরবর্তী এক সপ্তাহ নরম পানীয় খাওয়া উচিত হবে না।

Advertisement
আরও পড়ুন