শেহনাজ় গিলের স্বাস্থ্যরক্ষার টিপ্স। ছবি: সংগৃহীত।
মাত্র ৬ মাসে ১২ কেজি ওজন ঝরিয়ে অচেনা হয়ে ওঠেন ‘বিগ বস ১৩’-র শেহনাজ় গিল। হিন্দি টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো-তে এক ভাবে তাঁকে চিনেছিলেন দর্শকেরা। তার পর এখন পঞ্জাবি এবং হিন্দি ছবির নায়িকা শেহনাজ় যেন অন্য এক মানুষ। কোভিডের আগে তাঁর ওজন ছিল ৬৭ কেজি। তাঁর স্থূলত্বের নেপথ্যে ছিল থাইরয়েডের মতো জটিল রোগ। যাপনে বদল এনে ৫৫ কেজিতে পৌঁছোন অভিনেত্রী। কিন্তু এখনও কি খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে বিশ্বাসী তিনি?
সম্প্রতি এর সাক্ষাৎকারে শেহনাজ় নিজের যাপনের কথা জানালেন। কী ভাবে এখনও ছিপছিপে ওজন ধরে রেখেছেন তিনি? শেহনাজ় বললেন, ‘‘আমি ডায়েট করি না। ওজ়েম্পিক কী, তা-ও বহু দিন জানতাম না। এক সময়ে আমার ওজন ছিল ৬৭ কেজি। এখন আমি ৫৫ কেজিতে নামিয়ে এনেছি ওজন। মাঝেমধ্যে আবার ৫২-তেও নেমে যাই। এক বছর ধরে টানা সাদাসিধে সাত্ত্বিক খাবার খেয়েছি আমি। তাতে এমনকি রসুন আর পেঁয়াজও থাকত না। প্রবল নিয়ম মেনে চলেছি বলেই ওজন ঝরে গিয়েছে এক সময়ে।’’
শেহনাজ় গিল। ছবি: সংগৃহীত।
থাইরয়েডের সমস্যার কারণেই ওজন বেশি ছিল তাঁর। তবে এই মুহূর্তে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন শেহনাজ়। নিয়ন্ত্রণে আছে থাইরয়েড। পিৎজ়া, বার্গারপ্রেমী নায়িকা এখন রাগি, বাজরার রুটি খেয়ে দিন কাটান। তবে এই খাদ্যাভ্যাসকে শেহনাজ় ডায়েটের তকমা দিতে চান না। কারণ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পর থেকে মাঝেমধ্যে একটু বেনিয়ম করে থাকেন। যেমন, যদি কেউ তাঁকে বড়া পাও খেতে দেন, তিনি খেয়ে নেন। তবে সে ক্ষেত্রে সে দিনের নৈশভোজে রাশ টানেন। প্রয়োজনে খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। শেহনাজ়ের কথায়, ‘‘আমি এখন জানি, কী ভাবে নিজের খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।’’
সাদামাঠা খাবার খেয়ে, প্রক্রিয়াজাত খাবারের বদলে রাগি, বাজরায় ভরসা রেখে শেহনাজ় তাঁর বিপাকের প্রতি যত্নবান এখন। ফলে থাইরয়েডের সঙ্গে মোকাবিলা করা আগের থেকে সহজ হয়ে উঠেছে। আগের মতো কৃচ্ছ্রসাধন করেন না নায়িকা, তবে লোভকে প্রাধান্য দিয়ে ফেললে সেই মতো সতর্কতাও নেন। অর্থাৎ খানিক সংযম, খানিক রাশ ছেড়ে দেওয়ার যুগলবন্দিতে ৫৫-৫২ কেজিতে ওজন ধরে রাখতে সক্ষম তিনি।