Raisin Water for Hair Growth

কিশমিশ ভেজানো জল চুলেও মাখা যায়? কী হবে মাখলে? জেনে নিন কী ভাবে মাখবেন

কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি শরীরে কোলাজেন নামক প্রোটিন উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া নানা ধরনের খনিজও রয়েছে কিশমিশে, যেগুলি হেয়ার ফলিকল মজবুত করতেও সাহায্য করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৪
Raisin Water

কিশমিশ ভেজানো জল মাথায় মাখাও যায়। ছবি: সংগৃহীত।

শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে নিয়ম করে কিশমিশ ভেজানো জল খান অনেকে। ঘরোয়া ডিটক্স পানীয় হিসাবে এইটি দারুণ কাজের। ত্বকের জন্য কিশমিশ বেশ উপকারী। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, একই ভাবে চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতেও এই পানীয়টি খাওয়া এবং মাখা যেতে পারে।

Advertisement

কী কী উপাদান রয়েছে এই পানীয়ে?

কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি শরীরে কোলাজেন নামক প্রোটিন উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া নানা ধরনের খনিজও রয়েছে কিশমিশে, যেগুলি হেয়ার ফলিকল মজবুত করতেও সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কোলাজেন যেমন ত্বকের টান টান ভাব ধরে রাখে, তেমনই নতুন কোষ তৈরিতেও সহায়তা করে। এ ছাড়া আয়রন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে, যা হেয়ার ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন জোগান দেওয়ার কাজটি দায়িত্ব নিয়ে পালন করে।

কিশমিশে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, যা শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখে। সেটি চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনই অকালপক্বতা রোধ করতে পারে। মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল না হলে চুলের ফলিকল পুষ্টি পাবে না। কিশমিশে থাকা আয়রন সেই কাজেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে কিশমিশ। যথেষ্ট সেবাম উৎপাদন হলে চুলের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় থাকে। চুল জটমুক্ত করতেও ঝক্কি পোহাতে হয় না।

সকালে খালি পেটে রোজই কিশমিশ ভেজানো জল খেতে পারেন। তার জন্য আগের দিন রাত থেকে কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন সকালে সেই জল খেয়ে নিতে হবে। চাইলে কিশমিশ-সহ ওই পানীয় খাওয়া যায়। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, কিশমিশ ভেজানো জল কিন্তু মাথার ত্বক, চুলেও স্প্রে করা যায়। তবে অ্যালার্জি-জনিত সমস্যা থাকলে ‘প্যাচ টেস্ট’ করিয়ে নেওয়া জরুরি।

Advertisement
আরও পড়ুন