গাঁটে ব্যথা বাড়ে কেন শীতে। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের যাবতীয় ব্যথাবেদনা বৃদ্ধি পায় শীত প়়ড়লে। তার উপর যদি আর্থ্রাইটিসের রোগী হন, তা হলে গাঁটের যন্ত্রণা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়। চোট পেলেও ব্যথা বা়ড়তে থাকে এই মরসুমে। কিন্তু এই যুক্তির সঙ্গে আপস করে ফেললে হবে না। শীতে ব্যথা বাড়ার আসল কারণ জেনে নিলে যন্ত্রণার উপশমের পথও খুঁজে পাবেন সহজে।
শীতের সময়ে গাঁটে ব্যথা বাড়ে কেন?
হায়দরাবাদের মধুমেহ চিকিৎসক মৌনিকা জেট্টি জানাচ্ছেন, ঠান্ডার মরসুমে রক্তনালিকাগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে গাঁটে রক্তপ্রবাহ কমে যেতে থাকে। জড়তা বা়ড়তে থাকে হাঁটু, নিতম্ব, পিঠের মতো জায়গাগুলিতে। আর্দ্রতার অভাবে গাঁটের তরল পদার্থ কমে যায়। শীতের সময়ে শরীর কম সক্রিয় থাকে বলে গাঁটে যন্ত্রণা বেড়ে যায়। পেশি ও টিস্যু শক্ত হয়ে আসে। ব্যারোমেট্রিক চাপের পরিবর্তনও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। বাতাসের চাপ কমে গেলে, গাঁটের চারপাশের নরম টিস্যুগুলি হালকা ফুলে যায়। টেন্ডন, পেশি এবং আশেপাশের টিস্যু প্রসারিত হয়, যা গাঁটে চাপ বাড়িয়ে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্ত কারণেই আর্থ্রাইটিসের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
শীতে ব্যথা বাড়ে গাঁটে। ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে শীতের সময়ে এই ব্যথা কমানো যেতে পারে?
শরীর সক্রিয় রাখতে হবে: হালকা ব্যায়াম, যোগাসন ও স্ট্রেচিং করুন, যা গাঁটকে সচল রাখতে সাহায্য করে। এতে পেশি ও গাঁটের নমনীয়তা বাড়বে।
গাঁটের জায়গাগুলি উষ্ণ রাখতে হবে: গরম পোশাক, গ্লাভস, মোজা পরুন, গরম জল দিয়ে স্নান করুন বা হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। এই সমস্ত টোটকা মেনে গাঁটকে উষ্ণ রাখতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে: ফল, সব্জি, বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে গাঁটের ব্যথা উপশমের জন্য। এই সমস্ত খাবার শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণও বাড়াতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে: শীতের সময়ে তেষ্টা পায় না বলে অনেকেই পর্যাপ্ত জল পান করেন না। শরীরের জলের অভাব দেখা দিলে ব্যথাবেদনা বাড়তে পারে। তাই দিনে অন্তত ৩ লিটার জল পান করতেই হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে: যন্ত্রণা যদি দীর্ঘ স্থায়ী এবং অসহ্য হয়ে ওঠে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।