Ishaan Khatter’s Fitness

‘অ্যাবস্’ই হয়ে দাঁড়ায় ঈশানের প্রতিদ্বন্দ্বী! সুঠাম দেহ তৈরি করা নিয়ে কী পরামর্শ নায়কের?

‘দ্য রয়্যাল্স’-এ কত দৃশ্যে যে ক্যামেরা ঈশান খট্টরের অ্যাবস্-এ তাক করেছে, তার ইয়ত্তা নেই। সিরিজ়ে ‘মোরপুরের রাজা’র পেটের পেশির গুরুত্ব খুব কম ছিল না। নায়কদের শরীর এমন হওয়াই কাম্য বলে দাবি অনেকের। কিন্তু সেই মাংসপেশিই শেষমেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ঈশানের জন্য।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫ ২০:০৭
Ishaan Khatter shares secret of his fitness and how his abs became disadvantage for homebound movie

নেটফ্লিক্সের ‘দ্য রয়্যাল্স’-এ ঈশান খট্টরের সুঠাম দেহ মুগ্ধ করেছে অনুরাগীদের। ছবি: সংগৃহীত।

পেটের উপর স্তরে স্তরে সাজানো মাংসপেশি। যেন স্থাপত্যকার্য। নেটফ্লিক্সের ওয়েবসিরিজ় ‘দ্য রয়্যাল্স’-এ ঈশান খট্টরের সুঠাম দেহ মুগ্ধ করেছে অনুরাগীদের। ঘোড়া ছোটানো, স্যুইমিং পুলে ঝাঁপ দেওয়া, এগুলি ছাড়াও আরও কত দৃশ্যে যে ক্যামেরা তাঁর অ্যাবস্-এ তাক করেছে, তার ইয়ত্তা নেই। সিরিজ়ে ‘মোরপুরের রাজা’র পেটের পেশির গুরুত্ব খুব কম ছিল না। নায়কদের শরীর এমন হওয়াই কাম্য বলে দাবি অনেকের। কিন্তু সেই মাংসপেশিই শেষমেশ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ঈশানের জন্য। সম্প্রতি সে কথা জানান শাহিদ কপূরের সৎভাই।

Advertisement

সদ্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয় ঈশানের ছবি ‘হোমবাউন্ড’-এর। সেখানে দর্শকদের প্রশংসা কুড়োয় নীরজ ঘেওয়ান পরিচালিত ছবি। সেখানে চরিত্রের চাহিদা মতো ৮-১০ কিলোগ্রাম ওজন কমাতে হয় ঈশানকে। এমনকি পরিচালক শুরুতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর ছবির জন্য শরীরের অ্যাবস্ থাকলে চলবে না। ২৯ বছরের নায়ক বলেন, ‘‘পরিচালকের সঙ্গে যে দিন দেখা করত গিয়েছিলাম, তিনি প্রথমেই বলেন, সমস্ত পেশি হঠিয়ে ফেলতে হবে। সাধারণ ঘরের ছেলের জুতোয় পা গলাতে হলে অ্যাবস্ সবার আগে ঝেড়ে ফেলতে হবে। ফলে ওই অ্যাবস্ই কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরিচালক কেন বলছিলেন, স্পষ্ট বুঝতে পারি আমি। ৮-১০ কিলো ওজন কমিয়ে অ্যাবস্ও সরিয়ে ফেলি, যাতে আমায় ২১-২২ বছর বয়সের ছেলের চরিত্রে মানায়।’’

Ishaan Khatter shares secret of his fitness and how his abs became disadvantage for homebound movie

সদ্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয় ঈশানের ছবি ‘হোমবাউন্ড’-এর। ছবি: সংগৃহীত।

ঈশান চিরকালই ফিটনেসে আগ্রহী। কিন্তু তিনি এক বারে সমস্ত শক্তি ক্ষয় করে ফেলায় বিশ্বাসী নন। নিজের ক্ষমতা বুঝে ধীরে ধীরে শরীরচর্চা করলেও, তা যেন রোজ করা হয়, এমনই দাবি খট্টরের। ঈশান বলছেন, ‘‘মাত্র এক-দেড় বছরে এমন দেহসৌষ্ঠব তৈরি হয়নি আমার। আমি সব সময়েই ফিটনেস নিয়ে উৎসাহী। এক জন নৃত্যশিল্পী হিসেবে এমনিতেই ফিট থাকতে হয় আমায়।’’

অ্যাবস্ তৈরি বা ফিট থাকার জন্য বিশেষ কৌশল আছে বলে মনে করেন না অভিনেতা। মূলমন্ত্র কেবল একটিই, রোজ রুটিন মেনে এগিয়ে যাওয়া। কিন্তু তাঁর পরামর্শ, যতটা সম্ভব ততটাই পরিশ্রম করতে হবে। এক দিনে এমন শরীরচর্চা করা উচিত নয়, যাতে পরদিন থেকে আর উঠে দাঁড়াতেই পারবেন না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই হাল ছেড়ে দেন। এটি ভুল বলে দাবি ঈশানের। যাঁরা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্য বিশেষ করে ঈশানের এই পরামর্শ।

Advertisement
আরও পড়ুন