Fibroids Symptoms

জরায়ুতে ফাইব্রয়েড থাকলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে! শরীরে কোন উপসর্গ দেখলেই সাবধান হবেন?

ফাইব্রয়েড হলে অত্যধিক রক্তক্ষরণ হয় এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও শুরু হয়। জরায়ুতে এই টিউমার থাকলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:০০
Know the symptoms of having uterine fibroids.

ফাইব্রয়েড কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়? ছবি: সংগৃহীত।

বেশি বয়সে সন্তানধারণ করার সময় অনেক মহিলাকেই বেগ পেতে হয়। এই সমস্যার অন্যতম একটি কারণ হল, জরায়ুতে টিউমার। বিনাইন টিউমারের পোশাকি নাম ফাইব্রয়েডস। সাধারণত ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের জরায়ুতেই এই ধরনের টিউমারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ফাইব্রয়েডস মূলত তিনটি জায়গায় তৈরি হতে পারে। প্রথমত, জরায়ুর দেওয়ালের বাইরের দিকে, যাকে সাবসেরাস বলে। দ্বিতীয়ত, জরায়ুর দেওয়ালের মধ্যে, যাকে ইন্ট্রামিউরাল বলে এবং তৃতীয়ত, জরায়ুর যে অংশ থেকে ঋতুস্রাব হয়, তাকে বলা হয় সাব-মিউকাস। বেশির ভাগ মহিলাই সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডসে আক্রান্ত হন। ঋতুস্রাবের সময়ে পেটে তীব্র যন্ত্রণার অন্যতম কারণ সাব-মিউকাস ফাইব্রয়েডস। এর ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণ হয় এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাও শুরু হয়। জরায়ুতে এই টিউমার থাকলে গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

Advertisement

কী কী উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অত্যধিক রক্তপাত এবং গর্ভধারণে সমস্যা দেখা দিলেই ফাইব্রয়েডস আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। অনেক মহিলাই ঋতুস্রাবের যন্ত্রণাকে অবহেলা করেন, যন্ত্রণা কমাতে বেদনানাশক ওষুধ খান। তবে এই অবহেলা কিন্তু ভবিষ্যতে বড় বিপদ ডাকতে পারে। অনেক সময়ে হঠাৎ পেট ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যও ফাইব্রয়েডসের লক্ষণ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ৭-৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার জরায়ুর আকার যেমন হয়, এ ক্ষেত্রেও পেটের আকার তেমনই হয়ে যায়। এ ছাড়া, প্রস্রাবের হার বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাবের সময়ে তীব্র যন্ত্রণা, তলপেটে ব্যথাও এই রোগের উপসর্গ।

কাদের ঝুঁকি বেশি?

জরায়ুর ফাইব্রয়েডের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে কয়েকটি ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ থাকলে অসুখের ঝুঁকি বেশি। বাড়িতে মা, মাসি, দিদি-সহ অন্যদের এই সমস্যা থাকলে রোগের ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে বেশি। ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন ঋতুস্রাবের সময়ে জরায়ুর লাইনিং, অর্থাৎ আবরণকে উদ্দীপিত করে। এর ফলে ফাইব্রয়েড তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এই সব স্ত্রী হরমোনই ছোট ফাইব্রয়েড বেড়ে উঠতে সাহায্য করে। এই কারণেই সন্তানধারণের ক্ষেত্রে ফাইব্রয়েডের ঝুঁকি বাড়ায়।

এই রোগ আর কী কী অসুখ ডেকে আনে?

এই রোগে অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে শরীরে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ারও ঝুঁকি বেড়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকেরও ঝুঁকি বাড়ে। ফাইব্রয়েড হলে কিডনির কার্যকারিতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ফাইব্রয়েড থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

Advertisement
আরও পড়ুন