খাবার পেটের বন্ধু না হলে, ঝগড়া তো বাঁধবেই। জলখাবারে তাই কোন কোন খাবার রাখলে বিনা দ্বন্দ্বে শরীর থাকবে সুস্থ? ছবি: সংগৃহীত।
স্বাদ বিচারে জলখাবারে লুচি-তরকারির কোনও বিকল্পই হয় না। আবার ছোটদের পছন্দের তালিকায় থাকে জ্যাম-পাউরুটিও। কেউ কেউ স্বাস্থ্যের কথা ভেবে খান বাজারচলতি প্যাকেটবন্দি সিরিয়ালও। কিন্তু সকালের খাবারে এই সব খাওয়ার অভ্যাস কি আদৌ ভাল?
পেটের সমস্যা হলে তার প্রভাব পড়ে চোখে-মুখে। হজমে গোলমাল হলেই দেখা দেয় নানা রকম অসুখ-বিসুখ। সে কারণেই ‘গাট হেল্থ’-এ নজর দেওয়া দরকার বলেন, এমস এবং হার্ভার্ডে প্রশিক্ষিত গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজ়িস্ট সৌরভ শেট্টি।
আমেরিকার নেটপ্রভাবী চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি জানালেন, খাবার হজমে সাহায্যকারী প্রত্যঙ্গ পাকস্থলী থেকে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার উপায়। বাতলে দিলেন ৫ জলখাবার। তাঁর কথায়, সকালের খাবারটি ঠিকঠাক হলে দিনভর শরীর তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং শক্তি পায়।
সৌরভের মতে স্বাস্থ্যকর খাবার—
ডিম: প্রোটিন, খনিজের ভরপুর ডিমকে দশে দশ দেন চিকিৎসক। প্রোটিন তো বটেই, এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। সকালে শরীরের যা যা দরকার, তার সবটাই মেলে এই খাবারে। তা ছাড়া, প্রোটিন খাবার পেটও ভরিয়ে রাখে। সৌরভের কথায়, ডিম পেটের স্বাস্থ্যের পক্ষেও ভাল।
গ্রিক ইয়োগার্ট: ভারতে টক দই খাওয়ার চল রয়েছে। ইদানীং অনেকে গ্রিক ইয়োগার্টও খাচ্ছেন। এতে পেটের পক্ষে ভাল উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে পেট ফাঁপা, অস্বস্তির মতো কষ্ট এতে কমে। চিকিৎসকের বিচারে এই খাবার পায় ১০-এ ৯।
ওট্স: ইদানীং অনেকে প্রাতরাশে সিরিয়াল খান। তবে তার চেয়ে স্টিল কাট বা রোলড ওট্স ভাল বলছেন চিকিৎসক। কারণ, ওট্সে রয়েছে বিটা-গ্লুকোন ফাইবার। দিনভর শরীরে ধীরে ধীরে শক্তি জেগাতে সাহায্য করে ওট্স, একই সঙ্গে অন্ত্রেরও স্বাস্থ্যরক্ষা করে খাবারটি। ফাইবার থাকায়, এই খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না। ফেল ডায়াবেটিকদের জন্যও তা স্বাস্থ্যকর।
অ্যাভোকাডো টোস্ট: অ্যাভোকাডো ফলটি এখন ভারতেও মিলছে। এর শাঁস কিছুটা ক্রিমের মতো। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন খনিজ মেলে এতে। তবে পনিরও খাওয়া যায়, কারণ এতে প্রোটিন থাকে।
টোফু: পনির মতো দেখতে হলেও টোফুতে বেশি প্রোটিন মেলে। এটি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন। দুগ্ধজাত খাবার হজমে সমস্যা হলে টোফু খাওয়া যায়। এটি বিপাকহারের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।