মোদী-শাহের রাজ্যই এখন দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানকার অরণ্যে দুই বৃহৎ মার্জার প্রজাতির বসবাস। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তিন দশক পরে অবশেষে সরকারি ভাবে ভারতে ‘বাঘের বসতি’ হিসেবে চিহ্নিত রাজ্যগুলির তালিকার অন্তর্ভুক্ত হল গুজরাত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যকে এই তকমা দেওয়ার ঘোষণা করল জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (এনটিসিএ)।
১৯৮৯ সালে শেষ বার গুজরাতে বাঘের স্থায়ী উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়েছিল। তার পরে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ‘আবাসিক’ বাঘের দেখা না মেলায় সে রাজ্যকে বাঘ-মানচিত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। সাধারণ ভাবে গুজরাতের প্রসিদ্ধি এশীয় সিংহের একমাত্র প্রাকৃতিক আবাসভূমি হিসাবে। সেখানকার সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের গির জাতীয় উদ্যান এবং সন্নিহিত তৃণভূমি এবং পাহাড়ে ৮৫০-টির বেশি এশীয় সিংহের বসবাস। বিশ্বে অন্য কোথাও উন্মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে সিংহের দেখা মেলে না। অর্থাৎ, মোদী-শাহের রাজ্যই এখন দেশের একমাত্র রাজ্য যেখানকার অরণ্যে দুই বৃহৎ মার্জার প্রজাতির বসবাস।
তবে সৌরষ্ট্র অঞ্চল নয়, বাঘের উপস্থিতি নথিভুক্ত হয়েছে মধ্যপ্রদেশ সীমানা লাগোয়া পূর্ব গুজরাতের দাহোদ জেলায়। সেখানকার রতনমহল অভয়ারণ্যের বনকর্মীরা চলতি বছরের গোড়ায় বাঘের উপস্থিতি নজর করেছিলেন। গুজরাতের বন ও পরিবেশমন্ত্রী অর্জুন মোঢভাডিয়া জানিয়েছেন, এর পর থেকেই নিরন্তর সেই বাঘের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। এর আগে ২০০০ সালে কয়েক দিনের জন্য ওই এলাকায় একটি বাঘকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেটি আবার মধ্যপ্রদেশে ফিরে যাওয়ায়, বাঘ-মানচিত্রে ঠাঁই পায়নি গুজরাত। এ বার অবশ্য এক বছরের পর্যবেক্ষণ বলছে, রতনমহল অভয়ারণ্যকেই নিজের ডেরা হিসেবে বেছে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ থেকে আসা ওই পরিযায়ী বাঘ।