Sleeping Disorder

রোজ রাতে ঘুমের মধ্যে বিড়বিড় করেন? কোন সমস্যা থেকে এমনটা হচ্ছে, সমাধান কোন পথে?

ঘুমের মধ্যে অনেকেই বিড়বিড় করেন। নিজের পক্ষে এটা বোঝা সম্ভব নয়। অন্য কেউ বলে দিলে তখনই জানা যায়। আপাত ভাবে এটা কোনও সমস্যা নয়। তবে এই ধরনের অভ্যাসের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকে বহু কারণ। সেগুলি জেনে রাখা জরুরি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১৮:২৯
ঘুমের মধ্যে কেন কথা বলেন, জানেন?

ঘুমের মধ্যে কেন কথা বলেন, জানেন? ছবি: শাটারস্টক।

ঘুমের মধ্যে যে কথা বলেন, সঙ্গীর কাছ থেকে প্রথম জেনেছিলেন অরিন্দম। তবে বিশ্বাস করেননি। এমন যে হতে পারে, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। পরে অবশ্য খোঁজখবর নিয়ে এবং নেট ঘেঁটে জেনেছেন যে ঘুমের মধ্যে কথা বলার বিষয়টির অস্তিত্ব আছে। ঘুমের মধ্যে অনেকেই বিড়বিড় করেন। নিজের পক্ষে এটা বোঝা সম্ভব নয়। অন্য কেউ বলে দিলে তখনই জানা যায়। আপাত ভাবে এটা কোনও সমস্যা নয়। তবে এই ধরনের অভ্যাসের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকে বহু কারণ। সেগুলি জেনে রাখা জরুরি।

Advertisement

বহু কারণেই ঘুমের মধ্যে কথা বলেন অনেকে। কী কী কারণ থাকতে পারে এর পিছনে?

১) দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকে ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। অনেক সময়েই এই অসুস্থতা বাইরে থেকে টের পাওয়া যায় না। কিন্তু চিকিৎসককে বিষয়টি জানালে তিনি প্রকৃত কারণ বলতে পারেন।

২) কোনও কারণে মানসিক চাপে ভুগছেন? তার প্রভাবও পড়তে পারে ঘুমের উপর। ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়তে পারে এর ফলে।

৩) পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অনেকের এই সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের মধ্যে কথা বলেন তাঁরা।

কিন্তু এই অভ্যাস কিছুটা কমানো যায়। কী ভাবে?

১) রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যেতে হবে, ঘুম থেকে উঠতেও হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তা হলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

২) প্রাপ্ত বয়স্কদের রোজ সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম খুব দরকারি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোলে এই অভ্যাস আস্তে আস্তে কেটে যায়।

৩) রোজ কিছুটা সময় শরীরচর্চা করলেও এই সমস্যা কমতে পারে।

৪) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খেলেও এই সমস্যা হয়। সেটিও কমাতে পারলে ভাল। হাল্কা খাবার খেলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা কমে।

৫) সন্ধ্যার পরে চা বা কফি জাতীয় পানীয় খেলে গভীর ঘুম হয় না। তাতে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়ে।

৬) ঘুমোতে যাওয়ার আগে কী স্মার্টফোন ঘাঁটেন? এটিও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করুন। এই অভ্যাস কমবে।

Advertisement
আরও পড়ুন