Tips to Cure Slip Disk Problem

মেরুদণ্ডের সমস্যা মানেই যন্ত্রণায় কাবু হয়ে বাঁচা নয়, সুস্থ থাকার কৌশল বললেন অনন্তের প্রশিক্ষক

স্লিপ ডিস্কের সমস্যা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাপন সম্ভব। মানসিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে চলায় উৎসাহ দিলেন অম্বানী পরিবারের ফিটনেস প্রশিক্ষক বিনোদ চন্না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:১১
মেরুদণ্ডের সমস্যা কাটিয়ে উঠেও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। কী ভাবে নিজেই তা সম্ভব করেছেন জানালেন অনন্ত অম্বানীর একসময়ের ফিটনেস প্রশিক্ষক।

মেরুদণ্ডের সমস্যা কাটিয়ে উঠেও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। কী ভাবে নিজেই তা সম্ভব করেছেন জানালেন অনন্ত অম্বানীর একসময়ের ফিটনেস প্রশিক্ষক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মেরুদণ্ডের সমস্যা মানেই ব্যথা-বেদনা, আর আগের মতো হাঁটাচলা, ছোটছুটি সম্ভব নয় এমনটাই মনে করেন সকলে। তার কারণও আছে। স্লিপ ডিস্কের সমস্যা এক বার হলে, তা থেকে বেরিয়ে আসা শক্ত। দু’দিন ব্যথা কমলেও, আবার তা ফিরে আসে।

Advertisement

এই সমস্যা শারীরিক হলেও, প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় বলেই, মনে করেন অনন্ত অম্বানীর ফিটনেস প্রশিক্ষক বিনোদ চন্না। ধনকুবের মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানীর ১০৮ কেজি ওজন ঝরানোর নেপথ্য কারিগর ছিলেন বিনোদ। মুম্বইয়ের নামজাদা এই ফিটনেস প্রশিক্ষক মাঝেমধ্যেই সমাজমাধ্যমে শরীরচর্চার নানা ধাপ সম্পর্কে আলোচনা করেন। প্রচলিত ধারণা আর বাস্তব কোনটা তা নিয়ে পরামর্শ দেন।

বিনোদ জানাচ্ছেন, স্লিপ ডিস্কের সমস্যা তাঁরও রয়েছে। তবে তিনি তা কাটিয়ে উঠেছেন। এই সমস্যা খুব একটা সহজ নয়। কম বয়েসি থেকে বেশি বয়সি অনেকেই এমন সমস্যার সম্মুখীন।

মেরুদণ্ড ২৬টি ছোট্ট ছোট্ট হাড়ের টুকরো দিয়ে তৈরি। দু’টি হাড়ের টুকরোর ঘর্ষণ প্রতিরোধ করতে মাঝখানে থাকে কুশনের মত ডিস্ক। নরম জেলি দিয়ে ভরা এই ডিস্ক হাড় ক্ষয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশি দুর্বল থাকলে বা দুর্ঘটনায় চোট লেগে কিংবা বেশি বয়সে হাড় ক্ষয়ে পেশি দুর্বল হওয়ার জন্য সামান্য চাপ পড়লেই ডিস্ক স্থানচ্যুত হয়। এমনটা হলে স্বচ্ছন্দে চলাফেরা, হাঁটাহাটি, শরীরচর্চা, কোমর বেঁকিয়ে বা নিচু নিয়ে জিনিস তোলায় অনেক রকম সমস্যা হয়। ব্যথা-যন্ত্রণাতেও ভুগতে হয়।

বিনোদ বলছেন, ‘‘সমস্যার কারণ শুধু প্রবল যন্ত্রণা নয়। আসল সমস্যা হল মানসিক প্রতিবন্ধকতা। লোকজন ধরেই নেন, এই কষ্ট থেকে মুক্তি নেই। আর কোনও দিনই স্বাভাবিক ভাবে সমস্ত কাজ করা সম্ভব নয়। ভুলটা এখানেই।’’

এক সময় অম্বানী পরিবারের বধূ নীতা অম্বানীর ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসাবেও কাজ করেছেন বিনোদ। তিনি এখন স্বচ্ছন্দেই পিছন দিকে কোমর বেঁকিয়ে আর্চ করতে পারেন। শরীরচর্চা করেন। অথচ তাঁর স্লিপ ডিস্কের সমস্যা রয়েছে। বিনোদ জানিয়েছেন, মেরুদণ্ডের এই অসুখ সারাতে তিনি নিজেকে সময় দিয়েছেন। নিয়ম মেনে, সঠিক ভাবে শরীরচর্চা করেছেন। মনের জোর রেখেছেন। আর সেই ফল মিলেছে হাতেনাতে। লম্বা সময় লাগলেও, স্লিপ ডিস্কের কষ্ট, সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন।

বি-টাউনের অনেক তারকাই বিনোদের পরামর্শ মানেন। তিনি বলছেন, এই সমস্যাকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া যাবে মনের জোরে। সঠিক শরীরচর্চায়।

Advertisement
আরও পড়ুন