Anger in Women

কথায় কথায় রেগে আগুন, বয়স বাড়লে আরও খিটখিটে মেজাজ, কেন এত রেগে যান মেয়েরা?

মেয়েদের রাগ একটু বেশিই হয়, এমনটাই বলছে গবেষণা। সিয়াটেলের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন স্কুল অফ নার্সিং-এর গবেষকেরা জানিয়েছেন, মহিলাদের রাগ হয় কথায় কথায়, বয়স যত বাড়ে, অনেকেরই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ১০:০১
Study says, Women feel more intense anger as they grow older, what is the reason

কেন এত রাগ? ছবি: ফ্রিপিক।

আপনি খুব রাগী বুঝি? কথায় কথায় রেগে যান? রাগের মাথায় ভুলভাল কাজকর্ম করেন, যা তা কথা বলে পরে নিজেই পস্তান? এই রাগের চোটেই কি আপনার বহু কাজ ঘেঁটেছে? বন্ধুবিচ্ছেদও হয়েছে? বারোটা বেজেছে শরীরেরও? তা হলে এ বার একটু সতর্ক হোন। রাগ করে নিজের রক্তচাপ রকেটের গতিতে না বাড়িয়ে বরং তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখুন।

Advertisement

মেয়েদের রাগ একটু বেশিই হয়, এমনটাই বলছে গবেষণা। সিয়াটেলের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন স্কুল অফ নার্সিং-এর গবেষকেরা জানিয়েছেন, মহিলাদের রাগ হয় কথায় কথায়, বয়স যত বাড়ে, অনেকেরই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। বিশেষ করে রজোনিবৃত্তি পর্বে গিয়ে ইস্ট্রোজেন হরমোন এমন ওঠানামা করে যে, মনমেজাজের গতিপ্রকৃতিই বদলে যায়। কারও অস্থিরতা বাড়ে, কেউ পান থেকে চুন খসলেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যান। এর পিছনে হরমোনের কারসাজিই থাকে।

তবে শুধু হরমোনই যে খলনায়ক, তা কিন্তু নয়। রাগের আরও নানা কারণ থাকে। যেমন, হতাশা। সংসার ও পেশা সামলাতে গিয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছাগুলো এলোমেলো হয়ে যায় অনেকের। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও আপনজনদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নিজের প্রত্যাশা পূর্ণ হয় না অনেক সময়েই। তা থেকেও জন্ম নেয় রাগ। শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও বড় বিষয়। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের নিয়ে চিন্তা, সংসার-সন্তানের দায়িত্ব পালন— সব কিছু মিলিয়ে ক্লান্তি বাড়ে। সেখান থেকেও রাগের জন্ম হতে পারে। রাগের পারদ বেশি চড়ে রজোনিবৃত্তি পর্বে গিয়ে। কারণ, কমবয়সের রাগ যতই হোক না কেন, ইস্ট্রোজেন হরমোন সব সামলে নেয়। কিন্তু বয়সকালে ওই হরমোনের সক্রিয়তা যত কমে, ততই তার প্রভাব পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যে। যিনি নিয়মিত শরীরচর্চা, প্রাণায়ামে থাকেন, তিনি রাগ সামলানোর কৌশল আয়ত্ত করে ফেলেন। কিন্তু যিনি তা করেন না, তিনিই বিপদে পড়েন।

রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়

মনোবিদ্যার পরিভাষায় একে বলা হয় ‘অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট’। তার কিছু উপায় আছে।

কেন রাগ হচ্ছে, সেই কারণগুলো আগে থেকেই বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। এবং সেইমতো আচরণ ও প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা জরুরি।

মনের মধ্যে ক্ষোভ জমিয়ে না রেখে তা প্রকাশ করা খুব জরুরি।

রাগের উপলক্ষকে দূরে সরাতে চেষ্টা করুন। যে মুহূর্তে মনে হচ্ছে রাগ হতে পারে, সেই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন।

দিনের কিছুটা সময় নিজের জন্য বার করুন। ওই সময়ে আপনি নিজের মতো করে সময় কাটান।

রাগের মাথায় কোনও কিছু বলে ফেলা খুব সোজা। তার পরে সেই কথা নিয়ে অনুশোচনার শেষ থাকে না। কিছু বলার আগে কয়েক মুহূর্ত সময় নিন। একটু ভাবুন। অন্যদেরও ভাবার সুযোগ দিন।

শরীরচর্চা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। রাগও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যদি দেখেন, চড়চড় করে বাড়ছে রাগের পারদ, তাহলে বরং কয়েক চক্কর হেঁটে আসুন। খানিক ক্ষণ বসে ধ্যান করে নিন।

কী কারণে আপনি রেগে যাচ্ছেন, সে বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে কী ভাবে সমস্যার সমাধান হবে, তা নিয়ে মনোযোগী হোন। অন্যের নিন্দা বা সমালোচনা না করে নিজের পছন্দ-অপছন্দ পরিষ্কার করে জানান। তাতেও কাজ হবে অনেকটা।

Advertisement
আরও পড়ুন