Dairy foods lower Cancer risk

বাঙালির হেঁশেলে সহজলভ্য, কোন কোন দুগ্ধজাত খাবার খেলে ক্যানসারের আশঙ্কাই থাকবে না?

সাধারণ মানুষের হেঁশেলে এই সব খাবার সহজলভ্য, যা নিয়মমাফিক খেলে কর্কট রোগ ধারেকাছে ঘেঁষবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৩৫
There are different Indian dairy foods that can help lower the risk of cancer

কোন কোন দুগ্ধজাত খাবার খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমবে? ছবি: ফ্রিপিক।

ক্যানসার কেন হয়? নিশ্চিত ভাবে বলা না গেলেও এর নানা কারণের কথা বলেন গবেষকেরা। কারও মত, ক্যানসার জিনগত। আবার কেউ বলেন, খাদ্যাভ্যাস, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও এর জন্য দায়ী। চিকিৎসা সংক্রান্ত জার্নাল ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলছে, ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের বেশির ভাগের মধ্যেই স্তন, লিভার, মলাশয়, মলদ্বার, পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয়ের মতো প্রায় ১৭ প্রকার ক্যানসারের অস্তিত্ব মিলেছে। ক্যানসারের ঝুঁকি কী ভাবে কমবে, সে নিয়ে বিশ্ব জুড়েই গবেষণা চলছে। নামীদামি ওষুধ, প্রতিষেধক আনার চেষ্টা করছেন গবেষকরো। তবে এমন কিছু খাবারও আছে যা খেলে মারণরোগের ঝুঁকি কমতে পারে। তার মধ্যে ভারতীয় দুগ্ধজাত খাবারের নাম তালিকার উপরেই থাকবে। সাধারণ মানুষের হেঁশেলে এই সব খাবার সহজলভ্য, যা নিয়মমাফিক খেলে কর্কট রোগ ধারেকাছে ঘেঁষবে না।

Advertisement

কোন কোন দুগ্ধজাত খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে?

টক দই

রোজকার পাতে দই থাকে অনেকেরই। অনেকেই দুধ খেতে পছন্দ করেন না। তাঁরা বিকল্প হিসাবে টক দই খান। টক দইয়ে রয়েছে প্রো-বায়োটিক উপাদান, উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। যেগুলি শরীরের ক্ষতিকার ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও ভিটামিন এ, বি ৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস-সহ নানা পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর টক দই। এর সবচেয়ে বড় গুণ হল, শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ-এর গবেষণা বলছে, টক দই পরিমিত খেলে কোলন, ফুসফুস এবং স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমতে পারে।

দইয়ের ঘোল

ছাস বা দইয়ের ঘোলে প্রোবায়োটিক থাকে, যা শরীরের প্রদাহ নাশ করতে পারে। ঘোলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম ও প্রোটিন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে,দইয়ের ঘোলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কোষের অনিয়মিত বিভাজন রোধ করতে পারে। ফলে ক্যানসারের আশঙ্কা কমে।

পনির

পনিরে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম এবং সেলেনিয়াম থাকে। সেলেনিয়াম অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা কোষের প্রদাহ কমায় ও শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে পারে। তবে পনির পরিমিত মাত্রাতেই খেতে হবে।

ঘি

ঘিয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে। ঘি ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে-তে সমৃদ্ধ। পরিমিত ঘি খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ঘি সরাসরি ক্যানসার প্রতিরোধ করে এমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবে ঘি-তে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড থাকে, যা ক্যানসার কোষ তৈরি হতে দেয় না বলেই দাবি গবেষকদের। এ ছাড়া, ঘি-তে বিউটারিক অ্যাসিড থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এই উপাদান লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে।

Advertisement
আরও পড়ুন