কম ওষুধ খেয়ে ইউরিক অ্যাসিড সারানো যায়, শিখে নিন কিছু ব্যায়াম। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ইউরিক অ্যাসিড ধরা পড়া মানেই, আজ এটা খাওয়া যাবে না, তো কাল সেটা। ডায়াবিটিস, আর্থ্রাইটিসের মতো ইউরিক অ্যাসিডও স্বাভাবিক জীবনযাপন কিছুটা স্তব্ধ করে দেয়। খাবার হজমের সময় ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। এটা প্রস্রাবের স্বাভাবিক উপাদান। মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিন খেলে বা ওজন বাড়লে কখনও কখনও ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। বাড়তি ইউরিক অ্যাসিড শরীরের অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে জমা হয়। তখন গাঁটে ব্যথা ও প্রস্রাবের সংক্রমণ হতে পারে। কিডনিতে পাথরও জমতে পারে এই সমস্যার কারণে।
ইউরিক অ্যাসিড বা কিডনির সমস্যা মানেই একগাদা ওষুধ ও পথ্যের নিয়মে জীবনকে বেঁধে ফেলা। অথচ রোজ যদি কিছু সহজ ব্যায়াম ও যোগাসন অভ্যাস করা যায়, তা হলে ইউরিক অ্যাসিডের ঝুঁকি যেমন কমবে, তেমনই ভাল থাকবে কিডনিও।
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারে কোন কোন ব্যায়াম?
ব্রিস্ক ওয়াকিং
মাত্র ১৫-২০ মিনিটের হাঁটা। তবে খুব দ্রুত ও জোর কদমে হাঁটতে হবে। যদি ১৫ মিনিট হাঁটেন, তা হলে থামলে চলবে না। দ্রুত গতিতে হাঁটলে যেমন বাড়তি ক্যালোরি ঝরে যাবে, তেমনই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও কমবে। ব্রিস্ক ওয়াকিং যখন খুশি করা যায়। সকালে, দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পরেও করতে পারেন। এতে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, ওজনও কমবে।
ত্রিকোণাসন
দুই পায়ের মধ্যে কিছুটা ব্যবধান রেখে দাঁড়ান। এ বার বাঁ পাশে শরীরকে বেঁকিয়ে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ডান হাতটি উপরের দিকে একেবারে সোজা করে রাখতে হবে। হাঁটু ভাঙা চলবে না। শরীর টানটান থাকবে। এই ভাবে দশ অবধি গুনুন। তার পর হাত বদলে ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। ৩ বার এই আসনটি করুন।
ফরোয়ার্ড ফোল্ড স্ট্রেচিং
সোজা হয়ে দাঁড়ান। তার পর কোমর ভেঙে দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের পাতা স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। মাথা যতটা সম্ভব নীচের দিকে ঝোঁকান। প্রথম প্রথম পায়ের পাতা স্পর্শ করতে সমস্যা হবে, ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। সারা শরীরের স্ট্রেচিং হবে এই ব্যায়ামে।
লাঞ্জেস
লাঞ্জেস খুব ভাল স্ট্রেচিং। একটি পা সামনে এগিয়ে হাঁটু ভাঁজ করতে হবে, আর একটা পা পিছনে দিয়ে স্ট্রেচ করে বসার মতো করে একবার উঠতে হবে ও নামতে হবে। কাঁধ যেন সোজা থাকে। এটি প্রথমে ১০টি করে প্রতি পায়ে তিন বার করলেই যথেষ্ট।