mental health awareness

অবসাদে ভুগছেন কি না জানিয়ে দেয় বাড়ির অন্দরমহল, ‘ডিপ্রেশন রুম’ কী? কী তার লক্ষণ?

অবসাদ নানা প্রকারের হতে পারে। তার লক্ষণেরও রকমফের রয়েছে। এই মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে চর্চায় ‘ডিপ্রেশন রুম সিনড্রোম’।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৫ ১০:৪৪
Watch for these signs that may indicate you are dealing with Depression Room syndrome

প্রতীকী চিত্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

অবসাদ অজান্তেই মানুষের ক্ষতি করতে পারে। অনেক সময়ে ব্যক্তি যে অবসাদের শিকার, তা বুঝতেই সময় চলে যায়। ফলে অজান্তে আরও বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। এই প্রসঙ্গে মনোবিদদের একাংশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ‘ডিপ্রেশন রুম’ শব্দবন্ধ। সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলে বাড়ির অন্দরমহলের একাধিক ছবিও চোখে পড়ছে, .যার সঙ্গে অবসাদের যোগসূত্র রয়েছে। আসলে বলা হচ্ছে, কোনও ব্যক্তি অবসাদে আক্রান্ত কি না, তা জানিয়ে দিতে পারে বাড়ির অন্দরমহলের কয়েকটি পরিস্থিতি।

Advertisement

‘ডিপ্রেশন রুম সিনড্রোম’ কী?

সমাজমাধ্যমে ‘ডিপ্রেশন রুম’ বলে যে সমস্ত ছবি বা ভিডিয়ো ছড়িয়েছে, সেখানে মূলত বাড়ির কোনও অপরিচ্ছন্ন কোণ ফুটে উঠেছে। কোথাও রান্নাঘরে এঁটো বাসনের স্তুপ। কোথাও ময়লা জামাকাপড়ের পাহাড়। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে দিনের পর দিন পরিষ্কার না করা শোয়ার ঘর। মনোবিদেরা জানিয়েছেন, মন ভারাক্রান্ত হলে তখন নিয়মিত ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করার ইচ্ছা থাকে না। ব্যক্তিকে আলস্য ঘিরে ধরে। সে কোনও মতে দৈনন্দিন কাজ করে। কিন্তু সেখানে সৃজনশীলতার অভাব থাকে। এ রকম লক্ষণ ইঙ্গিত দেয়, ওই ব্যক্তি অবসাদের শিকার।

কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়

এই ধরনের অবসাদ কাটিয়ে ওঠা কঠিন নয় বলেই জানিয়েছেন মনোবিদেরা। তাই লক্ষণ স্পষ্ট হলে হীনম্মন্যতায় ভোগার কোনও কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ করা যেতে পারে—

১) পরিবারের সদস্যের বা বাড়িতে কোনও অতিথির নজরে বিষয়টা প্রকট হতে পারে। তাঁরা অপরিষ্কার ঘরবাড়ির দিকে নির্দেশ করলে সাবধান হওয়া উচিত।

২) সপ্তাহে অন্তত এক বার নিজের বাড়ির প্রতিটি কোণে নজর দেওয়া উচিত। কোথাও অপরিচ্ছন্নতা নজরে এলে সেই জায়গারটির আগের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা উচিত। তার ফলেও সজাগ হওয়া যায়।

৩) দৈনন্দিন জীবনে কয়েকটি পরিবর্তন করে অবসাদের সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব। সকালে ওঠা, বই পড়া, সুষম আহার, বাড়ির বাইরে বেরোনোর মতো বিষয়গুলি অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে।

৪) খেয়াল রাখা উচিত, সমস্ত অপরিচ্ছন্ন অন্দরমহল কিন্তু ব্যক্তির অবসাদের দিকে ইঙ্গিত না-ও করতে পারে। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন, যাঁদের বাড়ি পরিচ্ছন্ন, কিন্তু মনের দিক থেকে তাঁরা অবসাদের শিকার।

৫) লক্ষণ চিহ্নিত করার দু’সপ্তাহ অতিক্রম করার পরেও সমস্যার সুরাহা না হলে কোনও মনোবিদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন