strength training for seniors

৬০-এর পরেও জিমে যাওয়া যায়, নিয়মিত শরীরচর্চায় দেহের ৫টি পরিবর্তন ব্যক্তিকে সুস্থ রাখে আজীবন

অবসর জীবনেও শরীরচর্চা শুরু করা যায়। তার ফলে শরীরে একাধিক ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যায়, যা সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫ ১৭:৩৩
What happens to your body after 60 when you start lifting weights

প্রতীকী চিত্র। ছবি: এআই।

দৈনন্দিনের ব্যস্ততায় অনেক সময়েই শরীরের প্রতি নজর দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু দেরি হলেও ক্ষতি নেই। অনেকেই জীবনের দ্বিতায়ার্ধে সুস্থ থাকতে শরীরচর্চাকে বেছে নেন। ফিটনেস এক্সপার্টদের মতে, কেউ যদি ৮০ বছর বয়সে ফিট থাকতে চান, তা হলে ৫০-এর পর থেকে তাঁর শরীচর্চা করা উচিত।

Advertisement

আবার অনেক সময়ে এ রকমও দেখা যায় যে, তরুণ বয়সে কেউ খেলাধুলো বা নিয়মিত শরীচচর্চা করতেন। সাংসারিক জীবনে পা রেখে আর সময় পাননি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু আবার অবসরের পর নতুন করে শরীচর্চা শুরু করেছেন। ৬০ বছরের পর জিমে শরীরচর্চা শুরু করলে দেহে একাধিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।

১) পেশীর ঘনত্ব: ৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি ১০ বছর অন্তর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পেশির ঘনত্ব কমে আসে। কিন্তু শরীরচর্চার মাধ্যমে এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে স্ট্রেংথ ট্রেনিং। কারণ, ওজন-সহ ব্যায়ামের ফলে পেশির ক্ষুদ্র তন্তু ছিড়ে য়ায়। কোষ বিভাজনের ফলে নতুন পেশির ঘনত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।

২) অস্থির সুরক্ষা: বয়সের সঙ্গে হাড়ের ঘনত্বও কমে যায়। বিশেষ করে মেনোপজ়ের পর মহিলাদের অস্থির ঘনত্ব ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। শরীরচর্চার ফলে অস্থির উপর চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে পেশির পাশাপাশি অস্থির ঘনত্বও বৃদ্ধি পায়।

৩) মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য: বয়সকালে নিয়মিত শরীরচর্চা ‘ব্রেন ফগ’ দূর করে চিন্তাশক্তি, স্মৃতিশক্তি এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ওজন-সহ শরীরচর্চা ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। পাশাপাশি, ঘুমের গুণগত মানের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

৪) পেটের স্বাস্থ্য: বয়স্কদের ক্ষেত্রে গ্যাস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো পেটের সমস্যা নির্মূল করতে সাহায্য করে শরীরচর্চা। দেহে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও নিয়মিত ব্যয়াম করা যেতে পারে। শরীরচর্চার ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫) শারীরিক ভারসাম্য: বয়স্কেরা ধীরে হাঁটাচলা করেন। অনেক সময়ে বয়স জনিত রোগের কারণে দেহের ভারসাম্য বজায় রাখতে তাঁদের অসুবিধা হয়। শরীরচর্চা এই ধরনের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে। কুনুই, কোমর, হাঁটু, গোড়ালির জোর বৃদ্ধি পায়। তার ফলে সময়ের সঙ্গে ব্যক্তির মনের জোরও বাড়ে। আরও বেশি করে তিনি সুস্থ জীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন।

Advertisement
আরও পড়ুন