Yoga Poses

পেশির জোর বৃদ্ধির আসন, রোজ করলে মেদ ঝরবে, ক্লান্তি দূর হবে, বাড়বে স্মৃতিশক্তিও

শরীরের আটটি অঙ্গ ব্যবহার করতে হবে এই আসনে। সব ক’টি পেশির জোর বাড়বে। শরীরের যাবতীয় ব্যথাবেদনা দূর করতে একটি যোগাসনই যথেষ্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৫
What are the health benefits of Ashtanga Namaskara

মেদ ঝরবে, শক্তিও বাড়বে, একটি যোগাসনের হাজার উপকারিতা। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।

কমবয়সিদের এখন একটাই লক্ষ্য, কত তাড়াতাড়ি মেদ ঝরানো যায়। তবে শুধু মেদ ঝরালেই হবে না, সেই সঙ্গে পেশির জোরও বৃদ্ধি করতে হবে। যদি শরীর সুস্থ ও সুঠাম রাখতে হয়, তা হলে এমন ব্যায়াম করতে হবে, যাতে ওজন কমে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে এবং একই সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। অনেকেই ভাববেন, এত সব উপকারিতা একটি আসন থেকে পাওয়া কি সম্ভব?

Advertisement

অষ্টাঙ্গ নমস্কার নামে যোগাসনের একটি পদ্ধতি আছে, যা শরীরের হাজার সমস্যার সমাধান করতে পারে। এই আসন সূর্য নমস্কারের একটি অংশ। নিয়ম করে করলে পেশির জোর বাড়বে, ব্যথাবেদনা কমবে, শরীরের ভারসাম্য বাড়বে এবং ওজনও কমবে।

কী ভাবে করবেন?

১) ম্যাটের উপরে উপুড় হয়ে শুয়ে দু’টি কনুইয়ের উপরে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে শরীর তুলতে হবে।

২) পায়ের ভর থাকবে বুড়ো আঙুলের উপরে। শরীর থাকবে টানটান। দুই কনুই শরীরের পাশে ৯০ ডিগ্রি কোণে রাখুন, হাতের তালুগুলি মেঝে স্পর্শ করে থাকবে।

৩) এই ভঙ্গিতে দেখতে লাগবে অনেকটা প্ল্যাঙ্কের মতো। এর পর হাঁটু, বুক এবং থুতনি ধীরে ধীরে মেঝের দিকে নামান।

৪) শরীরের আটটি অংশ— অর্থাৎ দুই পা, দুই হাঁটু, দুই হাত, বুক এবং থুতনি মাটি স্পর্শ করে থাকবে।

৫) এই ভঙ্গিতে ধীরে ধীরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। ৩০ সেকেন্ড মতো থেকে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যান।

উপকারিতা:

অষ্টাঙ্গ নমস্কার সকালে করলে শরীরের সব ক’টি পেশির জোর বাড়বে।

বাতের ব্যথাবেদনা থাকলে তা কমে যাবে।

পেটের মেদ কমবে, শরীর টানটান হবে।

অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঝিমুনি ভাব দূর হবে। আসনটি সঠিক পদ্ধতিতে করলে শরীরে জোর পাবেন।

মনঃসংযোগ বাড়বে, উদ্বেগ কমবে, মন স্থির হবে।

হাত ও পায়ের পেশির জোর বাড়বে।

কারা করবেন না?

যোগাসন নতুন শুরু করলে প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া করবেন না।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আসনটি করবেন না।

উচ্চ রক্তচাপ, মাইগ্রেন থাকলে আসনটি করা যাবে না।

হাঁটু বা মেরুদণ্ডে কোনও আঘাত থাকলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি না করাই ভাল।

Advertisement
আরও পড়ুন