পেটের মেদ কমবে, শরীরের গড়নও সুন্দর হবে, অভ্যাস করুন এই আসন। চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
দেহের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটের মেদ ঝরানো বেশি কঠিন কাজ। জিম করে সারা শরীরের মেদ ঝরিয়ে ফেললেও পেটের মেদ কমাতে নাজেহাল হয়ে যেতে হয়। নিয়মিত শরীরচর্চার পাশাপাশি পেটের মেদ কমানোর জন্য ঠিক মতো ডায়েটেরও প্রয়োজন আছে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই বেশ সময়সাপেক্ষ। তবে যদি দ্রুত পেটের মেদ কমাতে হয়, তা হলে শুধু ডায়েটে কাজ হবে না, নিয়ম করে অভ্যাস করতে হবে যোগাসনের নানা ভঙ্গি।
পার্শ্বকোণাসন এমন এক আসন যা নিয়মিত অভ্যাসে পেটের মেদ তো কমবেই, পিঠ-কোমরের ব্যথাবেদনাও সেরে যাবে। অফিসে একটানা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে বসে কাজ করে কোমরে ব্যথায় এখন অল্পবয়সিরাও ভুগছেন। সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করেন কেউ কেউ। বিশেষ করে যাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়, তাঁদের জীবনে শোয়া-বসা-চলার মতো পিঠের ব্যথাও যেন প্রাত্যহিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সব সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে এই বিশেষ আসন।
কী ভাবে করবেন?
১)ম্যাটের উপর দুই পায়ের মধ্যে ব্যবধান রেখে দাঁড়ান।
২) ডান পা ৯০ ডিগ্রি কোণে মুড়ুন ও বা পাঁ আরও কিছু প্রসারিত করুন।
৩) ডান হাতটি ডান পায়ের হাঁটুর উপর রাখুন।
৪) এর পর বাঁ হাতটি মাথার উপর দিয়ে প্রসারিত করুন।
৫) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকতে হবে।
৬) পা বদলে আবারও অভ্যাস করুন।
উপকারিতা
১) পেট ও কোমরের মেদ কমবে, ওজন ঝরবে এই আসন অভ্যাসে।
২) হাত ও পায়ের পেশির জোর বাড়বে।
৩) শরীরের গড়ন সুন্দর হবে, ভারসাম্যও বাড়বে।
৪) হজমশক্তি বাড়বে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমবে।
৫) হাত, পা, পিঠ ও কোমরের ব্যথা কমে যাবে অল্প দিনেই।
কারা করবেন না?
পিঠে আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে আসনটি করা যাবে না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসনটি অভ্যাস করতে যাবেন না।
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার বা হাঁটু প্রতিস্থাপন হলে আসনটি করা যাবে না।