Cause of Joint Pain

এ ব্যথা কী যে ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা হচ্ছে অথচ গেঁটে বাত নয়, আর কী কী কারণে এমন যন্ত্রণা?

হাঁটু থেকে কোমর, কখনও যন্ত্রণা গাঁটেও। ব্যথায় কাবু হচ্ছেন বয়স্ক থেকে কমবয়সিরা। এ ব্যথা বাতের ব্যথা না-ও হতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১৮
What are the reasons of Joint Pain other than arthritis

বাত নয়, তা হলে আর কী কী কারণে হাঁটুতে ব্যথা হচ্ছে? ছবি: এআই।

বয়স বাড়লে হাঁটুর ব্যথাও বাড়ে। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের দেখলেই তা বোঝা যায়। তাড়াতাড়ি বসতে পারেন না। আবার বসলে উঠতে পারেন না। মাঝেমাঝে এমন যন্ত্রণা হয় যে, দু’দিন বিছানা থেকে নামতেই পারেন না অনেকে। চলাফেরা করাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে কমবয়সিরাও আজকাল অনেকে হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন। এর কারণ যে আর্থ্রাইটিস তা না-ও হতে পারে। অনেকেই ভেবে নেন হাঁটুর ব্যথা বা অস্থিসন্ধির যন্ত্রণা মানেই বাত। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই এই ব্যথার উৎস হতে পারে পেশি বা স্নায়ু। বাত ছাড়াও আরও কিছু কারণে গাঁটে গাঁটে ব্যথা ভোগাতে পারে যে কোনও বয়সি মানুষকেই।

Advertisement

ব্যথা যখন বাতের নয়

আঘাতের কারণে

আচমকা আঘাত লাগলে বা বহু পুরনো চোটের কারণেও পেশিতে টান ধরা বা পেশির ব্যথা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, আঘাত লেগে লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছে। তখনও যন্ত্রণা বাড়ে।

টেন্ডিনাইটিস

হাঁটুর চারপাশে পেশি ফুলে ওঠা, লাল হয়ে যাওয়া, কনুই-গোড়ালি বা হাতের কব্জিতে যন্ত্রণার কারণ হতে পারে টেন্ডিনাইটিস। অস্থিসন্ধিতে যে মোটা তন্তু থাকে তাতে প্রদাহ হলে বা সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে এমন ব্যথা হতে পারে। টেন্ডিনাইটিসকে অনেকেই আর্থ্রাইটিস ভেবে ভুল করেন।

সায়াটিকার ব্যথা

হঠাৎ করে কোমর থেকে পায়ের পাতা অবধি বিশেষ করে গোড়ালির পিছন অবধি অসহ্য যন্ত্রণায় হাঁটাচলা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। পা ফেলা তখন দায়। ঠিক মতো দাঁড়ানোই যায় না। কিছু ক্ষেত্রে আলপিন ফোটার মতো যন্ত্রণা হয় পায়ের পাতায়। কখনও আবার পায়ের বিশেষ বিশেষ অংশে জ্বালাভাব অনুভূত হয়, অবশ হয়ে যায়। এটি হয় স্নায়বিক কারণে, যাকে বলে সায়াটিকার ব্যথা। সায়াটিকা শরীরের দীর্ঘতম ও সবচেয়ে মোটা স্নায়ু। যা শুরু হয় মেরুদণ্ড থেকে। কোমর ও নিতম্বের নীচ থেকে একেবারে পায়ের গোড়ালি অবধি চলে যায়। তাই এই ব্যথা হলে কোমর থেকে পায়ের পাতা অবধি যন্ত্রণা হয়।

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি

মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড থেকে স্নায়ু বেরিয়ে বার্তা ও সংবেদন শরীরের নানা অংশে পৌঁছে দেয়। তার যাত্রাপথে বাধা পেলে, তখন তখন সঙ্কেত সর্বত্র পৌঁছতে পারে না। ফলে অস্থিসন্ধি ও শরীরের নানা অংশে যন্ত্রণা বা অসাড়তার লক্ষণ দেখা দেয়। এর চিকিৎসা দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। না হলে পক্ষাঘাত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

ব্যথা যে কারণেই হোক না কেন, তার নিরাময়ে নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। হালকা স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম পেশি ও স্নায়ুকে সচল রাখে। ফলে ব্যথাবেদনা কম হয়।

কিছু কিছু ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার বা অপব্যবহার এই সব রোগের অনুঘটক। জ্বার, মাথাব্যথা বা পেটের অসুখ হলে বেশির ভাগই বাজারচলতি ওষুধ কিনে খেয়ে নেন। এমন অভ্যেস বহু দিন থাকলে, তার থেকে এমন সব রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে এই রোগ অনেকাংশেই ঠেকিয়ে রাখা যাবে। যোগাভ্যাস, হাঁটাহাঁটি, ধূমপান ও মদ্যপানে বিরত থাকা, পরিমিত আহার, ওজন কম রাখা ইত্যাদি নিয়ম মানলে সুস্থ থাকা যাবে।

Advertisement
আরও পড়ুন