Cat Scratch Disease

আঁচড়ে দিয়েছে বিড়াল? দ্রুত চিকিৎসা না নিলে কী রোগ হতে পারে?

অনেকেই ভাবেন, বিড়ালের আঁচড়ে তেমন কোনও ভয় নেই। অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগিয়ে নিলেই হবে। বিষয়টা তা নয়। বিড়ালের আঁচড় বা কামড় থেকে এমন সংক্রামক রোগ হতে পারে, যা মারাত্মক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৩৯
What is Cat scratch disease, awareness and timely action are crucial

বিড়াল আঁচড়ে দিলে সঙ্গে সঙ্গে কী করতে হবে? ছবি: ফ্রিপিক।

কুকুর বা বিড়াল কামড়ে দিলে প্রতিষেধক নেওয়া খুবই জরুরি। তবে যদি সাধারণ আঁচড় হয়? বিশেষ করে বিড়াল আঁচড়ে দিলে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। অনেকেই ভাবেন, বিড়ালের আঁচড়ে তেমন কোনও ভয় নেই। অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগিয়ে নিলেই হবে। বিষয়টা তা নয়। বিড়ালের আঁচড় বা কামড় থেকে এমন সংক্রামক রোগ হতে পারে, যা মারাত্মক।

Advertisement

বিড়াল আঁচড়ে দিলে কী রোগ হয়?

বিড়ালের আঁচড়ে ‘ক্যাট স্ক্র্যাচ ডিজ়িজ়’ হতে পারে। সংক্রামক রোগ বিষয়ক চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, বিড়ালের শরীরে এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়, যার নাম ‘বোর্টোনেল্লা হেনসেলে’। বিড়ালের কামড়, আঁচড় বা অনেক সময়ে বিড়াল চাটলেও লালা থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া ঢুকে পড়তে পারে মানুষের শরীরে। রক্তে মিশে খুব দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাক্টেরিয়া। তার লক্ষণগুলিও মারাত্মক।

আঁচড়ানোর জায়গাটি অস্বাভাবিক রকম ফুলে উঠবে। সেখানকার গ্রন্থিগুলিতে প্রদাহ শুরু হবে, ফলে চামড়ায় পুঁজ বা ঘা হতে পারে। সেই সঙ্গে জ্বর আসবে, অসহ্য মাথা যন্ত্রণা শুরু হবে, শরীর প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়বে। চিকিৎসক জানাচ্ছেন, ব্যাক্টেরিয়া যদি মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়, তা হলে রোগী জ্ঞান হারাতে পারেন, গুরুতর স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কী ভাবে সতর্ক থাকবেন?

বিড়ালকে আদর করার সময়ে বা বিড়ালের সঙ্গে খেলার সময়ে সতর্ক থাকুন। পোষ্য বিড়াল হলে তার নখ নিয়মিত কাটতে হবে।

বিড়ালকে আদর করার পর অবশ্যই হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে বা সঙ্গে স্যানিটাইজ়ার রাখতে হবে।

পোষা বিড়ালকে সব ধরনের টিকা দিয়ে রাখতে হবে। তার পরেও আঁচড় খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে।

আঁচড়ানোর জায়গাটি আগে জল দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তার পর সেখানে অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগিয়ে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যান। না হলে ক্ষতস্থানে ধুলোবালি লেগে সেখানে আরও নানা রকম ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। আঁচড়ে রক্তপাত হলে সেই জায়গায় ব্যান্ডেজ বা গজ লাগিয়ে নিতে হবে। তার পর টিটেনাস ইঞ্জেকশন নেওয়া জরুরি। যদি ক্ষত গভীর হয় বা সংক্রমণ ঘটে, তা হলে পরিস্থিতি বুঝে সেই মতো চিকিৎসা করানো জরুরি।

Advertisement
আরও পড়ুন