Organs Health Tips

হার্ট, লিভার, চোখ বা কিডনি, কোন অঙ্গ কী উপায়ে সুস্থ থাকে? পুষ্টি উপাদান থেকে ব্যায়ামের তালিকা

শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সুস্বাস্থ্যের মূল নীতি হল সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত জল পান, পর্যাপ্ত ঘুম এবং ক্ষতিকারক পদার্থ এড়িয়ে চলা। কিন্তু কোন অঙ্গের জন্য কোন খাবার, কোন অঙ্গের জন্য কেমন ব্যায়াম বা অনুশীলন সঠিক?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২০:১৯
কোন অঙ্গের জন্য কোন উপাদান জরুরি?

কোন অঙ্গের জন্য কোন উপাদান জরুরি? ছবি: সংগৃহীত।

প্রতিটি অঙ্গের কার্যকারিতা ভিন্ন, তাদের চাহিদাও আলাদা। প্রতিটি অঙ্গের যত্ন নেওয়ার জন্য আলাদা পদক্ষেপ করতে হয়। সমস্ত অঙ্গই সুস্থ থাকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাসে। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলির সুস্বাস্থ্যের মূল নীতিগুলি হল সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত জল পান, পর্যাপ্ত ঘুম এবং ক্ষতিকারক পদার্থ এড়িয়ে চলা। কিন্তু কোন অঙ্গের জন্য কোন খাবার, কোন অঙ্গের জন্য কেমন ব্যায়াম বা অনুশীলন সঠিক? ক্যালিফোর্নিয়ার মেডিসিনের চিকিৎসক অ্যাপোস্টোলোস লেক্কোস সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের একটি পোস্টে জানাচ্ছেন, প্রতিটি অঙ্গের নিজস্ব পছন্দ আছে। তাই যখনই তাদের প্রিয় জিনিসের জোগান দেওয়া হয়, শরীর ভারসাম্য ফিরে পায়, সুস্থ হয়ে ওঠে।

Advertisement

কোন অঙ্গ কোন জিনিসটি ভালবাসে?

হার্ট: ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোএনজ়াইম কিউ১০ (দেহের ভিতর প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হওয়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট), ম্যাগনেশিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদানগুলি হার্টের জন্য উপকারী। ধীরে ধীরে হালকা চালে নড়াচড়া করা উচিত হার্টের সুস্বাস্থ্যের জন্য। হালকা গরম খাবার খেতে পারেন এই শীতে। ক্যাকাও এবং বিট এই অঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয়।

হাড়: শরীরের হাড় মজবুত করার জন্য ভিটামিন ডি৩, ভিটামিন কে২, ম্যাগনেশিয়াম এবং কোলাজেনের অবদান অঢেল। ভারোত্তোলন বা নানাবিধ ব্যায়াম নিয়মিত করলে হাড় ভাল থাকে। রোজ পর্যাপ্ত সূর্যালোক পেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল হয়।

ফুসফুস: ডায়াফ্রাম্যাটিক শ্বাস-প্রশ্বাস অর্থাৎ ডায়াফ্রাম পেশি ব্যবহার করে ধীর, গভীর শ্বাস নেওয়ার এই কৌশল ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা শক্তিশালী করে। এ ছাড়াও ভিটামিন সি, এনএসি-ও (এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট) ফুসফুসের জন্য উপকারী। হালকা কার্ডিয়ো ব্যায়াম করলে ফুসফুসের জোর বাড়ে। তালিকায় রয়েছে, আর্দ্র বাতাস, নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস, গান গাওয়া ইত্যাদি।

লিভার: চিকিৎসকের মতে, ক্রুসিফেরাস সব্জি, যেমন ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি লিভারের সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। হলুদও খুব উপকারী। পাশাপাশি প্রোটিন, গ্রিন টি, তেতো খাবারও রাখতে হবে।

মস্তিষ্ক: ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্রিয়েটিন (৩টি অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে পাওয়া যৌগ) ছাড়াও খেলাধুলো, পড়াশোনা ইত্যাদি অনুশীলন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য খুব জরুরি। মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখতে হলে মগজে শান দিতে হবে। তা ছাড়া নাক দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস এবং সকাল সকাল ওঠা, রোদ পোহানো, এই সমস্ত অভ্যাসকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসক।

কিডনি: ইলেক্ট্রোলাইট, পটাশিয়াম এবং হাইড্রেশন হল কিডনির স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। রক্তচাপের দিকে নজর রাখতে হবে সর্বদা। নিয়ম করে হাঁটাহাঁটি করতে হবে।

চোখ: লুটিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, জ়িয়াক্সানথিন (হলুদ ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক), ডকোসাহেক্সায়েনোইক অ্যাসিড নামক গুরুত্বপূর্ণ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চোখ ভাল রাখার জন্য খুব জরুরি। সকাল এবং বিকেলের সূর্যালোকের দিকে চোখ রাখলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। একই সঙ্গে দূরে তাকানোর ব্যায়াম অনুশীলন করতে হবে। নিয়মিত চোখ খোলা-বন্ধ করে নিলে চোখের উপর চাপ কম পড়ে।

Advertisement
আরও পড়ুন