Post Meal Soda Drink

বেশি খেয়ে শরীর আইঢাই করলে সোডায় চুমুক দেন? সাময়িক স্বস্তি পেতে কোন বিপদের ঝুঁকি বাড়ছে?

বেশি খাওয়া হয়ে গিয়েছে? তার পরেই কার্বোনেটেড বা সোডা পানীয়ে চুমুক। এমন অভ্যাস অনেকেরই থাকে। নিঃশব্দেই তা হয়ে উঠতে পারে ক্ষতিকর।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৪৮
খাবার পর সোডা খাওয়ার অভ্যাস  আদৌ কি ভাল?

খাবার পর সোডা খাওয়ার অভ্যাস আদৌ কি ভাল? ছবি: সংগৃহীত।

রেস্তরাঁয় গিয়ে বেশি খাওয়া-দাওয়া হয়ে গিয়েছে? সমাধান আছে হাতের কাছেই। সোডা-ওয়াটার অর্ডার করলেই হল। ভাজাভুজি খেয়ে গা গুলোচ্ছে? মশালা কোল্ড ড্রিংকসে চুমুক দিলেই স্বস্তি। খাওয়া বেশি হলে এই সহজ সমাধান বেছে নেন অনেকেই। সেটি হল সোডা জল বা কার্বোনেটেড পানীয়। খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঢেকুর ওঠে। শরীর হালকা লাগে।

Advertisement

তবে সাময়িক স্বস্তি পেতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন না তো! পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা বার বার সাবধান করেন, কার্বনোটেড পানীয়, চিনিযুক্ত সোডা ওয়াটার স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভাল নয়। মুম্বইয়ের পুষ্টিবিদ সুমন আগরওয়াল জানাচ্ছেন খাওয়ার পরে সোডা খেয়ে বদহজম বা অম্বল কমানোর অভ্যাস কতটা ক্ষতিকর। সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি। সুমন বলছেন , ‘‘সোডা খেতে ভাল, খাওয়ার পর শরীর হালকাও লাগে, কিন্তু হজম করার জন্য এই পানীয়কে যতটা উপকারী ভাবছেন, তা একেবারেই নয়। বরং এই পানীয় হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। বদহজমের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।“

খাবার পরে খেলে কী সমস্যা হতে পারে?

সোডা পানীয়ে চুমুক দিলে সাময়িক স্বস্তি মেলে ঠিকই, তবে পানীয়ে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস এবং কৃত্রিম চিনি অম্বল এবং পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

সোডা পেটের পক্ষে ভাল নয়, পাকস্থলিরও ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের পানীয় নিয়মিত খেলে পেটের ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা কমতে পারে এবং ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। যার প্রভাবে পেটের স্বাস্থ্য প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

সোডা ক্ষতিকর, তা হলে গ্যাস-অম্বল কমবে কী ভাবে?

হেঁশেলের সাধারণ উপকরণ, ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রাখা যায় এক্ষেত্রে।

জোয়ান: খাওয়ার পরে হজমের জন্য জোয়ান চিবিয়ে খাওয়ার পুরনো রেওয়াজই ফেরাতে বলছেন পুষ্টিবিদ। জোয়ানে থাইমল পাওয়া যায়, যা হজমে সহায়ক পাচক রস নিঃসরণে সাহায্য করে। তা ছাড়া জোয়ান গ্লুটেনের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। আটা, ময়দায় থাকা গ্লুটেন নামক শর্করাটি অনেকের সহ্য হয় না, হজম হতে চায় না।

আদা-চা: চা পাতা ছাড়া জলে একটু আদা কুচি ফুটিয়ে নিতে হবে। ঈষদুষ্ণ অবস্থায় সেই চা বা পানীয় খেলেও বমি ভাব, কিংবা হজমের সমস্যার সমাধান হবে। চাইলে এর সঙ্গে একটু পাতিলেবুর রস এবং মধু দেওয়া যেতে পারে।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ঘরোয়া টোটকায় উপশম না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকর।

Advertisement
আরও পড়ুন