When to Detox

যখন তখন ‘ডিটক্স’ পানীয় নয়, শরীরকে কখন দূষণমুক্ত করা দরকার, তা শরীরই বুঝিয়ে দেয়

কথায় কথায় ডিটক্স পানীয় খাওয়া নিস্প্রয়োজন। তবে এমনও হয়, যখন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ টেনে বার করার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যথাযথ কাজ করতে পারে না। তখন শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৭
‘ডিটক্স’ কি সত্যিই দরকার? জেনে নিন।

‘ডিটক্স’ কি সত্যিই দরকার? জেনে নিন। ছবি : সংগৃহীত।

শরীরের ডিটক্সিফিকেশন বা শরীর থেকে বিষাক্ত, দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের করে দেওয়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। যা অনবরত করে চলেছে লিভার, কিডনি এবং শরীরের ঘামের গ্রন্থিগুলো। কথায় কথায় ডিটক্স পানীয় খাওয়া তাই নিস্প্রয়োজন। তবে এমনও হয়, যখন শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ টেনে বার করার ওই প্রক্রিয়া যথাযথ কাজ করতে পারে না। তখন শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর তেমন যখন হয়, তখন শরীর কিছু সঙ্কেত দিতে শুরু করে।

Advertisement

ডিটক্সিফিকেশন দরকার বুঝবেন কী ভাবে?

অতিরিক্ত ক্লান্তি: যদি পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও সারাদিন ক্লান্ত অনুভব করেন, কোনও কাজেই শক্তি না পান, তবে বুঝতে হবে লিভার শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে পারছে না।

ত্বকের সমস্যা, মুখে দুর্গন্ধ: হঠাৎ করে ব্রণ, ফুসকুড়ি বা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে। এ ছাড়া নিয়মিত ব্রাশ করার পরেও যদি মুখে দুর্গন্ধ থাকে বা জিভে সাদা আস্তরণ পড়ে, তবে বুঝতে হবে শরীরে দূষণ মুক্ত করা প্রয়োজন।

হজমের সমস্যা এবং ওজন বেড়ে যাওয়া: পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা অ্যাসিডিটির সমস্যা যদি নিয়মিত হয়, তবে সেটিও শরীরে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ জমার ইঙ্গিত। ডায়েট বা ব্যায়াম করার পরেও ওজন না কমলে বুঝতে হবে বিপাকের হার কমে গিয়েছে। যা আদতে শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার ফলেই হতে পারে।

শরীর ডিটক্স করার তিনটি উপায়

পর্যাপ্ত জল পান— দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করুন। সকালে খালি পেটে হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি কিডনির মাধ্যমে টক্সিন বের করতে এবং রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ — অতিরিক্ত মিষ্টি, প্যাকেটজাত খাবার, ভাজা এবং তন্দুরে তৈরি হওয়া খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। বদলে সবুজ শাকসবজি ও ফল খান। এতে লিভারের ওপর চাপ কমে এবং শরীরের স্বাভাবিক ক্ষমতা ফিরিয়ে আনে।

পর্যাপ্ত ঘুম এবং ব্যায়াম— রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করুন এবং ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করুন রোজ। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক টক্সিন পরিষ্কার করে এবং ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে ময়লা বেরিয়ে যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন