Jagannath Snan Yatra Tips

১১ জুন গঙ্গাস্নানের সঙ্গে সহজ কিছু টোটকা পালনে খুলবে ভাগ্যের দরজা! জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ বর্তাবে নিশ্চিত

স্নানযাত্রার দিনই মন্দির থেকে বার করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে স্নানের বেদিতে নিয়ে আসা হয়। তার পর তাদের স্নান করানো হয়। বিশেষ কিছু টোটকা রয়েছে যা এই দিন পালন করলে জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর।

Advertisement
বাক্‌সিদ্ধা গার্গী
শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৫ ১২:২৭

—প্রতীকী ছবি।

বুধবার জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা। সকল হিন্দুদের কাছে এই দিনটির মাহাত্ম্য বিশাল। এই দিনটিকে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের জন্মতিথি বলে মনে করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আড়ম্বরের সঙ্গে এই পবিত্র দিনটি পালন করা হয়। এই স্নানযাত্রার দিনই মন্দির থেকে বার করে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে স্নানের বেদিতে নিয়ে আসা হয়। তার পর তাদের স্নান করানো হয়। বিশেষ কিছু টোটকা রয়েছে যা এই দিন পালন করলে জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর। সমস্যারা পিছু ছাড়বে নিশ্চিত।

Advertisement

জগন্নাথ স্নানের দিন কী কী টোটকা মেনে চলতে হবে?

১. এই দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে গঙ্গাস্নান করতে পারলে খুব ভাল ফল পাওয়া যাবে। গঙ্গাস্নান করলে নিজেদের অজান্তেই করে ফেলা নানা পাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে মনে করা হয়।

২. গঙ্গাস্নান করার সময় নতুন জামা পরে স্নান করতে পারলে খুবই ভাল হবে। তবে নতুন জামা পরতে না পারলেও, শুদ্ধ বস্ত্র পরে স্নান করতে হবে। অপরিষ্কার, অশুদ্ধ বস্ত্র পরে স্নান করা যাবে না।

৩. বাড়িতে জগন্নাথদেবের বিগ্রহ থেকে থাকলে তাতে গঙ্গাজল, ঘি, মধু, কেশর, কাঁচা দুধ ও চন্দন মাখিয়ে স্নান করান। তার পর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে গা মুছিয়ে তাতে হলুদ কাপড় জড়িয়ে রেখে দিন। স্নান করার পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসে বলে মনে করা হয়। তাই স্নান করানোর পর তাঁদের কোনও মতে খোলা গায়ে রাখা যাবে না। সে ক্ষেত্রে হলুদ বর্ণের বস্ত্র বা কাপড় গায়ে জড়িয়ে দিতে পারলে খুব ভাল হয়।

৪. যে কোনও জগন্নাথ মন্দিরে বা বাড়িতে থাকা জগন্নাথদেবকে হলুদ রঙের মিষ্টি অর্পণ করুন।

৫. এই দিন সাধ্যমতো দান করতে পারলে খুব ভাল হয়। বিশেষ করে যে কোনও জগন্নাথ মন্দিরের সামনে বসে থাকা দুঃস্থ লোকেদের অথবা পাঁচ বছর বা তার কম বয়সি শিশুদের এই দিন সাধ্যমতো দান করতে পারেন।

৬. স্নানযাত্রার দিন উপবাস রেখে গঙ্গাস্নান করতে পারলে খুবই ভাল হয়। স্নান সেরে জগন্নাথদেবকে পুজো দেওয়ার পর তার প্রসাদ মুখে দিয়ে উপবাস ভাঙতে হবে। উপবাস রাখতে না পারলেও আমিষ আহার গ্রহণ করা যাবে না। এই দিন নিরামিষ খাবার খেতে হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন