Overthinking and Astrology

অযথা ভাবনার গাড়ি দিন দিন গতি বাড়িয়েই চলেছে? নেপথ্যে থাকতে পারে জোড়া গ্রহ! রাশ টানতে মানুন সহজ প্রতিকার

শাস্ত্রমতে, আমাদের বেশি ভাবার নেপথ্যে রয়েছে দু’টি গ্রহ। তাদের শান্ত করা গেলে অযথা ভাবনাদের কিছুটা হলেও নিজের বশে আনা সম্ভব।

Advertisement
বাক্‌সিদ্ধা গার্গী
শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৫১
overthinking

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

জীবনের কোনও না কোনও প্রান্তে পৌঁছিয়ে প্রায় সকল মানুষই দুশ্চিন্তা করে থাকেন। তবে এঁদের মধ্যে কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা উঠতে-বসতে সব কিছু নিয়ে ভেবে চলেন। এঁদের ভাবনার ভিড় সর্বদা ছুটে চলে। তাতে এঁরা নিজেরাই সমস্যায় পড়লেও ভাবনার গতিবেগ কমাতে পারেন না। শাস্ত্র জানাচ্ছে, এর নেপথ্যেও থাকতে পারে গ্রহদের অবস্থান।

Advertisement

কাদের প্রভাবে মানুষ সব কিছু নিয়ে বেশি ভাবেন?

শাস্ত্রমতে, আমাদের বেশি ভাবার নেপথ্যে রয়েছে দু’টি গ্রহ। বুধ ও চন্দ্র। কোষ্ঠীতে এই দুই গ্রহ একত্রে অবস্থান করলে মানুষের মধ্যে যে কোনও বিষয় নিয়ে বেশি ভাবার প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়।

বুধ ও চাঁদের প্রভাবে মানুষ কেন বেশি ভাবেন?

বুধের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে আমাদের মাথার। শাস্ত্রমতে, বুধ হল বুদ্ধি ও জ্ঞানের গ্রহ। তাই যে ব্যক্তির জন্মছকে বুধ শুভ স্থানে থাকে, তাঁর জ্ঞান হয় প্রশংসনীয়। আমাদের বাচনক্ষমতা, লেখার হাত, ভাবনাশক্তি প্রভৃতি সব কিছুর উপরই বুধের প্রভাব রয়েছে।

অন্য দিকে, চাঁদ আমাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। জন্মছকে চন্দ্র দুর্বল থাকলে মানুষ নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এর ফলে জীবনে সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এই সময় উক্ত ব্যক্তি যে কোনও জিনিসের বিচার মাথার বদলে মন থেকে করেন।

জন্মপত্রিকায় চাঁদ ও বুধের সংযোগ স্থাপন হলে এবং সেটি অশুভ ঠেকলে মানুষ নিজের ভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। তখন মন ও মাথার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। বুদ্ধির ভরসায় কাজ করবে না আবেগের কথা শুনবে, সেটা ঠিক করে উঠতে অসুবিধা হয়। ফলত মানুষ অহেতুক ভাবনার সাগরে ডুব দেয়। যে কোনও বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা হয়। শত চেষ্টা করেও ভাবনায় রাশ টানা যায় না।

প্রতিকার:

অহেতুক ভাবনাদের মদত দিলে জীবনে সমস্যা বরং বাড়বে, কমবে না। তাই ভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা জরুরি। বুধ ও চাঁদের অশুভ সংযোগের ফলে মাথার কোণে জমা নানা ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বিশেষ কিছু উপায়। সেগুলি কী জেনে নিন।

  • নিয়মিত মন্ত্রপাঠ করতে হবে। দিনের যে কোনও সময় মন থেকে সকল ভাবনা দূর করে, হাঁটু মুড়ে বসে, একাগ্রতার সঙ্গে মন্ত্রপাঠ করুন। শিবমন্ত্র বা গায়ত্রীমন্ত্র পাঠ করতে পারলে খুব ভাল হয়।
  • মঙ্গলবার করে স্নানের পর হনুমান চালিশা পাঠ করতে হবে। এতে ভাবনা ও আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ আসবে। আত্মবিশ্বাস ও সাহস বৃদ্ধি পাবে। কোনও প্রকার দুশ্চিন্তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
  • সম্ভব হলে রুপোর গ্লাসে জল খান ও অভিজ্ঞ জ্যোতিষীর পরামর্শ নিয়ে মুক্তো ধারণ করতে পারেন।
  • বাড়িতে জ়েড, স্নেক প্রভৃতি শুভ গাছ রাখুন। সবুজ মনে শান্তি পৌঁছোয়। এই গাছগুলি আপনাদের জীবনে শুভ শক্তির সঞ্চার ঘটাতে সাহায্য করবে।
Advertisement
আরও পড়ুন