—প্রতীকী ছবি।
প্রতিটি মানুষের তালুর আকৃতি আলাদা। হস্তরেখাবিদ্যার সাহায্যে বিভিন্ন আকৃতির তালু পড়ে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে হদিস দেওয়া সম্ভব। আমাদের তালুর রেখা বিচার করা সহজ বিষয় নয়। অভিজ্ঞ জ্যোতিষবিদ ছাড়া হাতের রেখা বিচার করা সম্ভব নয়। যে কাউকে দিয়ে এই কাজ করানো উচিত নয় বলেও মনে করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, কোনও মানুষের মনে যদি আপনাকে নিয়ে খারাপ মতলব থাকে, তা হলে তিনি আপনার হাতের রেখা চাইলেই বদলে দিতে পারেন। যদিও সে কাজ করা সহজ বিষয় নয়। তবে আজ আমরা জানব হাতের রেখা নয়, তালুর বিচার করে কী ভাবে আমরা ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে জানতে পারি। এর জন্য জ্যোতিষশাস্ত্রের জ্ঞান না থাকলেও চলবে। কেবল আপনার তালু কেমন প্রকৃতির এবং সেটির রং কেমন তা বিচার করলেই আপনি জানতে পেরে যাবেন।
চওড়া তালু: চওড়া তালুর জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত পরিশ্রমী হন। এঁরা যে কোনও কাজ অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে করতে পারেন। যে কাজে এঁরা এক বার করবেন বলে ভেবে নেন বা বলে ফেলেন, সেই কাজ না করা পর্যন্ত এঁরা থামেন না। চওড়া তালুর ব্যক্তিরা কথা দিয়ে কথা রাখতে জানেন। এঁদের চোখ বুজে বিশ্বাস করা যায়।
বর্গাকার তালু: বহু মানুষের তালু দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের দিক দিয়ে প্রায় সমান-সমান হয়। এই ধরনের তালুকে বর্গাকার তালু বলে। এঁরা নিজের বলে সফলতার শীর্ষে পৌঁছোন। এই সকল মানুষের কঠোর পরিশ্রম করার ক্ষমতা এঁদের জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এঁদের আত্মবিশ্বাসও হয়ে প্রশংসনীয়। বর্গাকার তালুর ব্যক্তিরা যেটা পারেন না, সেটির জন্য সময় নষ্ট করতে পছন্দও করেন না। এঁরা নিজেদের ক্ষমতা সম্বন্ধে অত্যন্ত ওয়াকিবহাল হন এবং সেই অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পছন্দ করেন।
সরু তালু: সরু তালুর জাতক-জাতিকাদের মনও হয় সঙ্কীর্ণ। এঁরা যে কোনও ক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থটাই আগে দেখেন। অপরের থেকে নিজেকেই বেশি প্রাধান্য দেন। কোনও কাজ শুরু করার আগে সরু তালুর ব্যক্তিরা দেখেন সেই কাজ করে এঁরা কী পাবেন, তার পর সেটির দিকে পা বাড়ান। এঁরা লোকে কী বলছে সে বিষয়ে কান দেন না। অপরের কথামতো এঁরা নিজেদের জীবন পরিচালনা করেন না, নিজের যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই করেন।
নরম তালু: নরম তালুর জাতক-জাতিকারা স্বভাবগত দিক দিয়েও অত্যন্ত নরম প্রকৃতির হন। এঁরা যে কোনও কাজ অত্যন্ত ভেবেচিন্তে করেন। অপরের সাহায্য করার জন্য এঁরা সদাপ্রস্তুত থাকেন। কখনও কাউকে কষ্ট দিয়ে কোনও কথা বলেন না বা কাজও করেন না।
শক্ত তালু: যে সকল ব্যক্তির তালু শক্ত হয়, তাঁদের জীবনে নানা উত্থান-পতনের সম্মুখীন হতে হয়। তবে এঁরা বাধার সামনে পড়ে থেমে যান না, বরং দৃঢ়তার সঙ্গে সেটির বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেন। এঁরা নিজের কাজকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। কাজের থেকে বড় এঁদের কাছে কিছুই নয়।
লাল তালু: লাল তালুর ব্যক্তিরা বদমেজাজি হন। এঁরা অল্পতেই চট করে রেগে যান। নিজের রাগের উপর এঁদের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। লাল তালুর জাতক-জাতিকারা একা সময় কাটাতে বেশি ভালবাসেন। এঁরা একটু স্বার্থপর প্রকৃতির হন। অপরকে চট করে বিশ্বাস করেন না এই সকল মানুষেরা।
গোলাপি তালু: গোলাপি তালুর জাতক-জাতিকাদের মাথা অত্যন্ত শান্ত হয়। এঁরা কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন। চট করে রেগে যান না। এঁরা কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন এবং সফলতা অর্জন করার পরই থামেন।