Karma Closing Indications

খারাপ সময়েরও শেষ রয়েছে! ছোট্ট সাত পরিবর্তন দেখতে পেলেই বুঝবেন কর্মফল থেকে নিস্তার পাচ্ছেন

দৈবশক্তি আমাদের ততটাই কষ্ট দেয়, যতটা কষ্ট আমরা আমাদের কৃতকর্মের দ্বারা অপরকে দিয়েছি। তাই খারাপ কাজের ফল পাওয়ারও একটা অন্ত রয়েছে।

Advertisement
বাক্‌সিদ্ধা গার্গী
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০২
astro

—প্রতীকী ছবি।

কর্মফল প্রতিটা মানুষকেই ভোগ করতে হয়। সেটিকে ফাঁকি দেওয়ার সাধ্যি কারও নেই। জ্ঞাত হোক বা অজ্ঞাত, জীবনে খারাপ কাজ করলে তার ফল ভোগ করতেই হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, গতজন্মের কোনও পাপের ফলও মানুষ পরের জন্মে ভোগ করে চলেছেন। তবে এ ক্ষেত্রে ভাল ব্যাপার একটাই, দৈবশক্তি আমাদের ততটাই কষ্ট দেয়, যতটা কষ্ট আমরা আমাদের কৃতকর্মের দ্বারা অপরকে দিয়েছি। তাই খারাপ কাজের ফল পাওয়ারও একটা অন্ত রয়েছে। কী ভাবে বুঝবেন যে আপনার শিক্ষার শেষ হয়েছে?

Advertisement

কর্মফল শেষ হওয়ার সঙ্কেতগুলো কী কী?

১. বহু দিন ধরে বয়ে চলা কোনও সমস্যা নিজে থেকেই শেষ হয়ে যায়। হয়তো সেটির সমাধান করার চেষ্টা আপনি বহু বার, বহু ভাবে করে দেখেছেন। কিন্তু প্রতি বারই ফল পাননি। বরং হতাশাই সঙ্গ দিয়েছে। কর্মফল শেষ হয়ে আসলে সে সকল সমস্যা নিজে থেকেই মিটে যায় বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র।

২. আবেগগত দিক দিয়ে মনে স্বস্তি পৌঁছোয়। অনুভূতির টানাপড়েন থেকে আমরা মুক্তি পাই। যে সকল পরিস্থিতির কথা ভেবে আগে শিউরে উঠতেন, সেগুলিকে শান্ত মাথায় সামলে ওঠার ক্ষমতা পাবেন। অশান্তি কমবে।

৩. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে মানুষের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছিলেন, সেই মানুষের সঙ্গে শেষ বারের মতো এক বার দেখা হয়। হয়তো বিশ্বসংসার আপনাকে ক্ষমাপ্রার্থনার সুযোগ করে দেয়। সেই দেখা অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রশান্তি দিয়ে যায়।

৪. জীবনে যা কিছু অশান্তি সৃষ্টি করছে, সেগুলি সব নিজে থেকেই বিদায় নেবে। কোনও ক্ষতিকর সম্পর্ক বা নিজের ক্ষতি করার চিন্তা উধাও হয়ে যাবে। জীবনের প্রতি টান বৃদ্ধি পাবে।

৫. নিজের সমালোচনা করা বন্ধ করে দেবেন। আপনি যেমন, তেমন রূপেই নিজেকে স্বীকার করতে শিখে যাবেন। নিজের প্রতি থাকা সকল ক্ষোভ, বিদ্বেষ মন থেকে মুছে যাবে। নিজেকে ভালবাসতে শিখবেন।

৬. জীবনে কী করতে চান এবং কী চান না সেই ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা তৈরি হবে। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আর ঘেঁটে থাকবেন না। সবটাই পরিষ্কার জলের মতো স্বচ্ছ মনে হবে। জীবনের লক্ষ্য অনুধাবন করতে পারবেন।

৭. সব কিছু মেনে নিতে শিখে যাবেন। খারাপের প্রতিও কৃতজ্ঞতাবোধ কাজ করবে। নিজেকে আর বার বার প্রশ্ন করবেন না যে, যা হচ্ছে তা কেন হচ্ছে। বরং সেগুলি হওয়ার কারণ বুঝবেন এবং সেগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর পথে এগোনোর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

Advertisement
আরও পড়ুন