—প্রতীকী ছবি।
জীবনে নিয়ম-নিষ্ঠার প্রয়োজন প্রত্যেক মানুষেরই রয়েছে। ছন্নছাড়া জীবনে সফলতা পেতে বিলম্ব হয়। কিছু কাজ রয়েছে যা নিয়মের বাইরে করতে গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ছাড়া সব সময় নিজের ছন্দে জীবন কাটালে আশপাশের লোকজন, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন বা বাড়ির বয়োজ্যষ্ঠদের চক্ষুশূল হয়ে উঠতে বিশেষ সময় লাগে না। কিন্তু রাশিচক্রের কিছু রাশির ব্যক্তিরা এ সবের ধার ধারেন না। তাঁরা ছন্নছাড়া জীবনেই আনন্দ খুঁজে পান। নিয়মের বেড়াজালে এঁদের আবদ্ধ করা যায় না। তালিকায় কারা রয়েছে জেনে নিন।
মেষ: মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা হুজুগের দাস। এঁদের যখন যা মনে হয়, তখন সেটাই করে ফেলেন। এই রাশির মানুষেরা পরিকল্পনা করে এগোতে পছন্দ করেন না। বরং মনের সুরে নেচে চলাতেই এঁরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্য। সেই কারণে মেষ রাশির ব্যক্তিদের বহু ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এঁরা নিজেদের জীবনধারায় পরিবর্তন আনেন না।
মিথুন: কোনও এক জিনিসে মিথুন রাশির ব্যক্তিদের আগ্রহ বেশি দিন টিকে থাকে না। এঁরা সর্বদা এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে লাফিয়ে বেড়ান। সেই কারণে কোনওটাই এঁদের ভল ভাবে শেখা হয়ে ওঠে না। মানসিক অস্থিরতা এঁদের নিত্যসঙ্গী। যে কোনও বিষয়ে অতিরিক্ত কৌতূহল এঁদের জীবনকে ছন্নছাড়া করে তোলে।
তুলা: সকলের মন জুগিয়ে চলতে পছন্দ করেন তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা। এঁরা সব ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই গোলমাল করে ফেলেন। সকলকে খুশি রাখার তাগিদে এঁরা নিজের কিসে ভাল হবে সেটাই ভুলে যান। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও তুলা রাশির ব্যক্তিরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকেন। যে কোনও বিষয় নিয়ে গড়িমসি করা এঁদের স্বভাব।
ধনু: ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা প্রকৃতির হন। এঁরা নিজের ছন্দে জীবন কাটাতে ভালবাসেন। কারও কথার ধার ধারেন না। অন্য কেউ বা ধরাবাঁধা নিয়ম এঁদের জীবন পরিচালনা করুক, তা ধনু রাশির ব্যক্তিদের মোটেই পছন্দ নয়। এঁরা সর্বদা চলতি সব কিছুর বিপরীতে গিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাতে নিজের ক্ষতি হলেও এঁদের কিছু যায় আসে না।
কুম্ভ: স্বাধীন জীবন কাটাতে ভালবাসেন কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারাও। এঁরা চেনা ছকের বাইরে গিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। সেই কারণে অনেক সময় আশপাশের মানুষের কাছে এঁরা চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। তবে কে কী বলছেন বা ভাবছেন, সে সবে কুম্ভ রাশির ব্যক্তিরা বিশেষ কান দেন না। উল্টে কত রকম ভাবে যুগের পর যুগ ধরে আসা ছকগুলিকে ভাঙা যায় সেই ফন্দি আঁটতে ব্যস্ত থাকেন।