IndiGo Flight Operations Hit

যাত্রীদের ঝুঁকি বাড়িয়ে কেন শুধু ইন্ডিগোর জন্যই নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্র? প্রশ্ন তুলল পাইলটদের একটি সংগঠন

পাইলটদের সংগঠন এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (আলপা) প্রশ্ন তুলেছে যে, কেন শুধুমাত্র ইন্ডিগোর সুবিধা করে দিতেই নিয়মবিধি শিথিল করা হল? এর ফলে লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ওই সংগঠনটি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:০৩
ইন্ডিগোর সুবিধা করে দিয়ে নিয়মবিধি শিথিল করা হল কেন? প্রশ্ন পাইলটদের একটি সংগঠনের।

ইন্ডিগোর সুবিধা করে দিয়ে নিয়মবিধি শিথিল করা হল কেন? প্রশ্ন পাইলটদের একটি সংগঠনের। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ইন্ডিগো-বিভ্রাটে লাগাম পরাতে শুক্রবার পাইলট এবং বিমানকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট শ্রমবিধি আংশিক শিথিল করেছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাইলটদের একটি সংগঠন। এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (আলপা) নামের ওই সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে যে, কেন শুধুমাত্র ইন্ডিগোর সুবিধা করে দিতেই নিয়মবিধি শিথিল করা হল? এর ফলে লক্ষ লক্ষ যাত্রীকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ওই সংগঠনটি। প্রসঙ্গত, এর আগে পাইলটদের এই সংগঠনটিই অভিযোগ করেছিল যে, বিধি শিথিল করতে কেন্দ্রকে বাধ্য করার কৌশল নিয়েছিল ইন্ডিগো। সেই কারণেই বিমান পরিষেবা ব্যাহত হলেও ইন্ডিগো কোনও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করে তারা।

Advertisement

ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রের একটি বিধি। ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামের ওই বিধিতে বলা হয়েছিল, প্রতি সপ্তাহে পাইলট এবং বিমানকর্মীদের বিশ্রামের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২টি বিমান রাতে অবতরণ করাতে পারবেন একজন পাইলট (আগে সংখ্যাটা ছিল ৬)। তা ছাড়া ওই বিধিতে বলা হয়, পাইলট এবং বিমানকর্মীদের পর পর দু’দিন নাইট ডিউটি দেওয়া যাবে সপ্তাহে এক বারই। ২০২৪ সালের জুনেই এই বিধি কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু বিমানসংস্থাগুলির অনুরোধে তা বার বার পিছিয়ে যায়। সম্প্রতি নতুন বিধি কার্যকর করার জন্য ডিজিসিএ-কে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। জুন এবং নভেম্বরে দুই দফায় ধাপে ধাপে নির্দেশিকায় থাকা নিয়মাবলি কার্যকর করার পথে হাঁটে ডিজিসিএ। নয়া বিধি কার্যকর হতেই কর্মীসঙ্কটে পরিষেবা বিঘ্নিত হয় ইন্ডিগোর। অভিযোগ, অন্য বিমানসংস্থাগুলি এই বিধির কথা মাথায় রেখে কর্মী এবং পাইলট নিয়োগ করলেও, ইন্ডিগো তেমন কিছু করেনি। অন্য সংস্থা থেকে কর্মী নিয়োগের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।

আগের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, পাইলট বা বিমানচালকদের নেওয়া ছুটিকে সাপ্তাহিক বিশ্রামের যে নির্দিষ্ট সময়সীমা, তার অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। অর্থাৎ, পাইলটরা আগাম ছুটি নিন বা না-নিন, সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বিশ্রাম দিতেই হবে তাঁদের। শুক্রবার এই নিয়মটি শিথিল করে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। বলা হয়, পাইলটদের ছুটির সময়সীমাও ওই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। সমস্যা মোকাবিলায় পাইলটদের সহযোগিতাও চাওয়া হয়।

দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন বিধি শিথিল করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পাইলটদের ওই সংগঠন। শুক্রবার রাতে তাদের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “আমরা পাইলট এবং যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়ার জন্য (অসামরিক বিমান পরিবহণ) মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানাচ্ছি।”

Advertisement
আরও পড়ুন