India Bangladesh Relation

ক্ষতি হচ্ছে, ভারতকে অনুরোধ করুন, ৩ মাস সময় চান! বাংলাদেশি পোশাক নির্মাতাদের চিঠি ইউনূস সরকারকে

বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক নির্মাতাদের সংগঠন বিকেএমইএ মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে। তারা চায়, ভারতকে অনুরোধ করুক ঢাকা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ১৪:৩০
মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতাদের সংগঠন।

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতাদের সংগঠন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক স্থলবন্দর দিয়ে আর ভারতে প্রবেশ করতে পারবে না, জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারত সরকারকে এই বিধিনিষেধ স্থগিতের জন্য অনুরোধ করুক অন্তর্বর্তী সরকার। চিঠি দিয়ে এমনটাই আবেদন জানাল বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক নির্মাতাদের সংগঠন বিকেএমইএ (বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন)। তারা জানিয়েছে, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশি রফতানিকারকেরা। অন্তত তিন মাসের জন্য যেন বিধিনিষেধ স্থগিত করা হয়, মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার তার বন্দোবস্ত করুক। এ বিষয়ে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের আবেদনও জানিয়েছে বিকেএমইএ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্র উল্লেখ করে এই তথ্য জানিয়েছে।

Advertisement

বিকেএমইএ সভাপতি মহম্মদ হাতেম বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছেন। চিঠি গিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের বিধিনিষেধের কথা জানার পর বাংলাদেশের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে এবং বাণিজ্যসচিবের নেতৃত্বে পর পর দু’টি বৈঠক হয়েছে। তাতে সকলেই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, সচিব পর্যায়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে অবিলম্বে আলোচনা প্রয়োজন। কারণ, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্থলবন্দরগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থলপথে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে অনেক পণ্য সীমান্তে আটকে গিয়েছে। স্থগিত হয়ে গিয়েছে উৎপাদন। এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে।’’

পোশাক নির্মাতারা চিঠিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের খতিয়ান প্রকাশ করেছেন। বলা হয়েছে, ‘‘বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ রফতানি পণ্য বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। এর মধ্যে অধিকাংশই পোশাক। গত ১০ মাসে স্থলপথে ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছে।’’ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পোশাক নির্মাতাদের অনুরোধ, ‘‘ভারতের নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশি পোশাক নির্মাতারা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। ভারত সরকারের কাছে অন্তত তিন মাস সময় চাইতে হবে। তাদের অনুরোধ করতে হবে। বর্তমানে যে পণ্য প্রক্রিয়ারত অবস্থায় আছে, তা-ও যেন এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়।’’

গত শনিবার ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, এ দেশের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের রেডিমেড পোশাক ভারতে ঢুকবে না। কেবল মুম্বই এবং কলকাতা বন্দর দিয়ে জলপথে এই পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে। ফল, ফলের স্বাদযুক্ত কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার (কেক, চিপ্‌স বা স্ন্যাক্স), তুলো, সুতো, প্লাস্টিকের পণ্য এবং কাঠের আসবাবপত্র অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা বা মিজ়োরামের কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়েও এই পণ্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর পরেই বাংলাদেশের পোশাক নির্মাতারা ইউনূসের সরকারের দ্বারস্থ হলেন।

Advertisement
আরও পড়ুন