CBSE Open Book Assessment

বই খুলে পরীক্ষা দিতে পারবে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা! আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই নয়া নিয়ম সিবিএসই-র

আগামী ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হতে চলা এই পরীক্ষাপদ্ধতির নাম ওপেন-বুক অ্যাসেসমেন্ট (ওবিএ)। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন (এনসিএফএসই) ২০২৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পরীক্ষাপদ্ধতি আনার কথা ভেবেছে সিবিএসই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ২১:০৮

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

এ বার বই খুলে পরীক্ষা দিতে পারবে নবম শ্রেণির পড়ুয়ারা! এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই নিয়ম চালু হতে চলেছে। গত জুন মাসে সিবিএসই-র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক বোর্ডের সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত কেবল মাত্র নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই নিয়ম চালু হচ্ছে। পরে অন্যান্য শ্রেণির জন্যও বই খুলে পরীক্ষা দেওয়ার এই রীতি চালু হতে পারে।

Advertisement

আগামী ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে চালু হতে চলা এই পরীক্ষাপদ্ধতির নাম ওপেন-বুক অ্যাসেসমেন্ট (ওবিএ)। জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন (এনসিএফএসই) ২০২৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই পরীক্ষাপদ্ধতি আনার কথা ভেবেছে সিবিএসই। তাদের বক্তব্য, এতে পড়ুয়াদের মধ্যে না বুঝে হুবহু মুখস্ত করার ঝোঁক কমবে, পরিবর্তে তাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়বে।

মূলত ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞান— এই চার বিষয়ের পরীক্ষায় বই খুলে উত্তর লিখতে পারবে পড়ুয়ারা। পরীক্ষা চলাকালীন তারা যে কোনও পাঠ্যবই কিংবা ক্লাসনোটের পাতা উল্টে দেখতে পারবে। যদিও সিবিএসই জানিয়েছে, এই পরীক্ষাপদ্ধতি বাধ্যতামূলক নয়, ঐচ্ছিক। কী ভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে, তা নিয়ে স্কুলগুলিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে একটি ‘ওপেন-বুক’ পরীক্ষার আয়োজন করেছিল সিবিএসই। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, পড়ুয়াদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ১২ থেকে ৪৭ শতাংশের মধ্যে। এর থেকে বোঝা যায়, পাঠ্যক্রম-বহির্ভূত বইয়ের ব্যবহার এবং পাঠ্য বিষয়গুলি সম্পর্কে পড়ুয়াদের বেশির ভাগেরই এখনও স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়নি। ফলে এই ধরনের পরীক্ষাপদ্ধতিতে পড়ুয়াদের উন্নতিই হবে বলে অনেকের অনুমান। শিক্ষকেরাও এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন। তাঁদের মতে, এর ফলে পড়ুয়াদের চিন্তাভাবনা এবং প্রায়োগিক দক্ষতা বাড়বে।

Advertisement
আরও পড়ুন