Uttar Pradesh Unnatural Death

‘বাবা-মা ক্ষমা করে দিয়ো’, জয়েন্টে খারাপ ফলের পর উত্তরপ্রদেশে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া

বুধবার সকালে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ওই পড়ুয়ার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় অন্য পড়ুয়াদের। হস্টেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১০
জয়েন্টে খারাপ ফলের পর উত্তরপ্রদেশে আত্মঘাতী  দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া।

জয়েন্টে খারাপ ফলের পর উত্তরপ্রদেশে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। —প্রতীকী চিত্র।

জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল হয়নি। হতাশায় আত্মহত্যা করলেন উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া। আত্মঘাতী হওয়ার আগে বাবা-মার উদ্দেশে একটি চিঠিও লিখে গিয়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে ওই পড়ুয়া লিখেছেন, “বাবা-মা আমি দুঃখিত। আমায় তোমরা ক্ষমা করে দিয়ো। আমাদের যাত্রাপথ এখানেই শেষ হল। আমি পারিনি। তোমরা কেঁদো না। তোমরা আমায় অনেক ভালবাসা দিয়েছ। কিন্তু আমি তোমাদের স্বপ্নপূরণ করতে পারিনি।”

Advertisement

বুধবার উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের একটি বেসরকারি কোচিং ইনস্টিটিউট থেকে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পড়াশোনার জন্য কোচিং ইনস্টিটিউটেই থাকতেন ওই পড়ুয়া। তবে কয়েক দিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। দু’দিন সেখানে থেকেই ফিরে যান।

পড়ুয়ার বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, বুধবার সকালেও তাঁর সঙ্গে মেয়ের কথা হয়েছিল। সেই সময় জয়েন্ট খারাপ ফল হওয়ার কথা জানান ওই পড়ুয়া। তখন তাঁকে বাবা হতাশ না-হয়ে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। বাবার কথায়, “বুঝিনি, মেয়ে এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে।

বুধবার সকালে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে ওই পড়ুয়ার ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় অন্য পড়ুয়াদের। হস্টেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement
আরও পড়ুন