Kerala Incident

জেল থেকে পালিয়ে গ্রেফতারি এড়াতে কুয়োয় ঝাঁপ! ধর্ষণ-খুনে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ফের কারাগারে ফেরাল পুলিশ

শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ কান্নুর সংশোধনাগারের ১৫ ফুট দেওয়াল টপকে পালিয়ে যান ওই আসামি। তাঁর খোঁজে এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে গতিবিধি অনুসরণ করে তাঁকে ধরে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১৩:০৭
convict who was serving life term, caught hours after escaping Kerala jail

জেল থেকে পালানো আসামি গোবিন্দচামি ওরফে চার্লি টমাস। ছবি: সংগৃহীত।

ধর্ষণ করে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসামির জেল ছেড়ে পালানোর ঘটনার নাটকীয় মোড়। জেলের নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে দেওয়াল টপকে পালিয়েও শেষরক্ষা হল না যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামির! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে এক কুয়োর ভেতর থেকে ধরে আবার জেলে পুরল পুলিশ।

Advertisement

শুক্রবার ভোরে কেরলের কান্নুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে যান গোবিন্দচামি ওরফে চার্লি টমাস। ভোরে জেলরক্ষীরা দেখেন তাঁর সেল ফাঁকা। শুরু হয় খোঁজ। কয়েক মিনিটের মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষ বুঝে যান চার্লি জেল থেকে পালিয়েছেন। তত ক্ষণে বাজিয়ে দেওয়া হয় জেলের অ্যালার্ম। আসামিদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় নিজেদের সেলে। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশকে। তার পরেই এলাকা জুড়ে চার্লির খোঁজ শুরু হয়। শুধু পুলিশ নয়, স্থানীয়েরাও অনুসন্ধানে যোগ দেন।

শুক্রবার ভোর ৪টে নাগাদ কান্নুর সংশোধনাগারের ১৫ ফুট দেওয়াল টপকে পালিয়ে যান চার্লি। তাঁর খোঁজে এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে গতিবিধি অনুসরণ করে পুলিশ। স্থানীয়দের কেউ কেউ পুলিশকে জানান, কী ভাবে চার্লিকে পালাতে দেখেছেন। শেষে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির কুয়োর মধ্যে থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

২০১১ সালে কোচি থেকে শোরানুরগামী ট্রেনে ভ্রমণকারী এক ২৩ বছর বয়সি যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত চার্লিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি একজন প্রতিবন্ধী। হাঁটেন ক্রাচ নিয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ ভারতে ওই রাজ্যে। ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টে বিচার হয় অভিযুক্তের। ২০১২ সালে চার্লিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে চার্লি কেরল হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। তবে বহাল থাকে নিম্ন আদালতের রায়ই। পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় তারা।

Advertisement
আরও পড়ুন