Mumbai Rape

১৬ বছর আগে ধর্ষিতা! মুম্বইয়ের মূক ও বধির তরুণী আরও মেয়ের অভিজ্ঞতা জানার পর ধরিয়ে দিলেন অভিযুক্তকে

ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালে। নির্যাতিতা সে সময় নাবালিকা ছিলেন। মাদক খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে তাঁকে হুমকিও দিতে শুরু করেন ওই যুবক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৪২
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

১৬ বছর আগে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়! এত দিন পর মুম্বইয়ের সেই ঘটনায় ধর্ষককে চিনিয়ে দিলেন মূক ও বধির নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে তড়িঘড়ি গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্ষককে। জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক অতীতে আরও বেশ কয়েক জনকে একই ভাবে যৌন নির্যাতন করেছেন। সব অভিযোগের তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে ২০০৯ সালে। নির্যাতিতা সে সময় নাবালিকা ছিলেন। মাদক খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, গোটা ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে তাঁকে হুমকিও দিতে শুরু করেন ওই যুবক। ভয়ে এত দিন থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি নির্যাতিতা। অভিযোগকারিণীর আরও দাবি, তিনি একা নন, ওই যুবক অতীতে একের পর এক মহিলাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। তাঁদের প্রত্যেককে তিনি নিয়মিত হুমকিও দিতেন। সম্প্রতি ওই যুবকের দ্বারা নির্যাতিতা এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তার পরেই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেন নির্যাতিতা তরুণী।

নির্যাতিতার কথায়, এক বান্ধবীর কথায় ২০০৯ সালের জুলাই মাসে মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বান্ধবীর সান্তাক্রুজ়ের বাড়িতেই উঠেছিলেন ওই তরুণী। কিছু ক্ষণ পর অভিযুক্তও সেখানে আসেন। অভিযোগ, তরুণীকে মাদক মেশানো জলখাবার এবং নরম পানীয় খেতে দেন দু’জনে। খাবার খেয়ে তরুণী সংজ্ঞা হারালে অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রথমে ভিডিয়ো কলে ২০০৯ সালে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার কথা ইশারায় বন্ধুদের জানান মূক ও বধির ওই তরুণী। সব জানার পর বন্ধুরাই তাঁকে থানায় নিয়ে যান। তরুণীর স্বামীও সঙ্গে যান। এ সময়ে ঠাণে বধির সমিতির সভাপতি বৈভব ঘাইসিস, কর্মী মহম্মদ ফারহান খান, সাংকেতিক ভাষা জানেন এমন দোভাষী মধু কেনি-সহ আরও কয়েক জন তরুণীর পাশে দাঁড়ান। ১৩ ডিসেম্বর কুরার থানার পুলিশের কাছে গিয়ে দোভাষীর মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত যুবককে পালঘর জেলার ভিরার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বেছে বেছে মূক ও বধির মহিলাদেরই নিশানা করতেন। তার পর তাঁদের একই ভাবে মাদক খাইয়ে যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে বেশ কয়েক জন মহিলার অন্তরঙ্গ ভিডিয়ো উদ্ধার হয়েছে। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে তাঁদের হুমকি দিয়ে টাকা, সোনা আদায় করতেন ওই যুবক। ওই পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে সাত জন মহিলাকে যৌন নির্যাতনের খবর রয়েছে। তবে সংখ্যাটি ২৪ জনেরও বেশি হতে পারে।’’ ধৃতকে আদালতে হাজির করানোর পর বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন