Nurse Harassed in Delhi AIIMS

সাসপেন্ড করা হয়নি ‘অভিযুক্ত’ চিকিৎসককে, জল্পনা ওড়াল দিল্লি এমস! পিএমও-তে অভিযোগ করেছিলেন নার্সেরা

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমস-এর এক নার্সিং অফিসার ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দেয় নার্সদের সংগঠন। গত ৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও অভিযোগপত্র জমা দেয় তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৩০
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমসের এক নার্স ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমসের এক নার্স ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনে সরব হয়েছিলেন নার্সেরা। প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও-তে এ নিয়ে চিঠিও লিখেছিল দিল্লি এমস-এর নার্সেস ইউনিয়ন। জল্পনা শুরু হয়েছিল, পিএমও-তে অভিযোগ জমা পড়তেই তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করা হয়েছে ‘অভিযুক্ত’ সিনিয়র সার্জেন একে বিসোইকে। এ বার সেই জল্পনা উড়িয়ে দিল দিল্লি এমস। জানানো হল, আদৌ সাসপেন্ড করা হয়নি বরিষ্ঠ ওই চিকিৎসককে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতোই চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন তিনি।

Advertisement

শনিবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কার্ডিয়ো থোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারি (সিটিভিএস) বিভাগের প্রধানের পদ থেকে বিসোইকে বরখাস্ত করা হয়নি। বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সিটিভিএস-এর এক অধ্যাপক সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমগুলিতে ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট জানাচ্ছি, ওই ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়নি। তবে, যাতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে আপাতত বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বটি অন্য এক চিকিৎসককে দেওয়া হয়েছে।’’ আপাতত এমস-এর সিটিভিএস বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন সিনিয়র অধ্যাপক ভি দেবেগৌড়া।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমস-এর এক নার্সিং অফিসার ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ আনেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দেয় নার্সদের সংগঠন। গত ৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও অভিযোগপত্র জমা দেয় তারা। তাতে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের হেনস্থা এবং অপমানের অভিযোগ করা হয়। প্রকাশ্যে অশ্লীল গালাগালি দেওয়া এবং হুমকির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এর মাঝে গত ১৩ অক্টোবর গুজব রটে, পিএমও-তে অভিযোগ জমা পড়তেই সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই চিকিৎসককে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই আবহে এ বার ব্যাখ্যা দিলেন এমস কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
আরও পড়ুন