Encounter in Bhopal

ভোপালে ‘এনকাউন্টার’! ১৪৪ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন তল্লাশির পর ধর্ষণে অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ, মাথার দাম ৩০ হাজার টাকা

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি উত্তাল হয় রাইসেন। অভিযুক্তের খোঁজে একাধিক দল গঠন করে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৫১
ধর্ষণে অভিযুক্তকে ‘এনকাউন্টার’। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ধর্ষণে অভিযুক্তকে ‘এনকাউন্টার’। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

১৪৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ভোপালে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের দাবি, তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তা না করে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। অবশেষে ‘এনকাউন্টারে’ অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ। ধৃতের পায়ে গুলি লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের রাইসেন জেলায় ছয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার পর অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি উত্তাল হয় রাইসেন। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। অভিযুক্তের খোঁজে একাধিক দল গঠন করে তল্লাশি শুরু হয়। টানা ১৪৪ ঘণ্টা তল্লাশির পর ভোপাল থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তের মাথার দাম ৩০ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর ভোপালে আশ্রয় নেন অভিযুক্ত। সেখানে তিন দিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। এক পরিচিতের বাড়ির কাছেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই পরিচিত তাঁকে বাড়িতে আশ্রয় দিতে চাননি। এমনকি পুলিশেও খবর দেননি বলে দাবি। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। তার পরই ভোপালে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে পুলিশ। সেই সময়েই পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় অভিযুক্তের। যদিও পুলিশের গুলিতে আহত হন তিনি। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে রাইসেন নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২১ নভেম্বর এক কিশোরীকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাইসেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব পুলিশকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। শুধু তা-ই নয়, গ্রেফতারিতে কেন দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশও করেছিলেন তিনি। রাইসেনের পুলিশ সুপার পঙ্কজ পাণ্ডেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন