India-Pakistan Conflict

‘অন্যকে জ্ঞান দেওয়ার নৈতিক অধিকারই নেই’! সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্য ওড়াল নয়াদিল্লি

বড়দিনের সময় ভারতে কিছু চার্চে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব বিষয় নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। পাকিস্তানের সেই বক্তব্য নস্যাৎ করল ভারত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৩৯
India hits back at Pakistan on minorities charge

(বাঁ দিকে) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নাকি নির্যাতন চলছে! পাকিস্তানের এই দাবি নস্যাৎ করল ভারত। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনার পরিসংখ্যান ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল দাবি করেন, ইসলামাবাদ সংখ্যালঘু প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির দিকে আঙুল তুলে নিজেদের ইতিহাস মুছে ফেলতে পারে না!

Advertisement

বড়দিনের সময় ভারতে কিছু চার্চে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব বিষয় নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সোমবার রণধীর বলেন, ‘‘আমরা তাদের রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করছি। ওদের এই বিষয়ে (সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার) ভয়াবহ রেকর্ডই তার সত্যতা প্রমাণ করে। বিভিন্ন ধর্মের সংখ্যালঘুদের উপর পাকিস্তানে যে নির্যাতন হয়, তা সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য। যতই আঙুল তোলা হোক না কেন, ওই সত্যকে মুছে ফেলা যাবে না।’’

সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র তাহির আন্দ্রাবির ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের বিষয়ে মন্তব্য করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টিআকর্ষণ করে জানান, তাদের উচিত ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, সে দিকে নজর দেওয়া। বড়দিনের ভাঙচুরের ঘটনাকে আলাদা করে উল্লেখ করেছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। একই সঙ্গে ২০১৫ সালে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে গণপিটুনিতে মৃত মহম্মদ আখলাকের প্রসঙ্গও টেনেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘গণপিটুনি মামলায় অভিযুক্তদের ভারত রক্ষা করার চেষ্টা করছে।’’ উল্লেখ্য, আখলাক খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় সে রাজ্যের গৌতম বুদ্ধ নগরের একটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালত। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র তাহিরের কথায়, ‘‘এই ধরনের ভুক্তভোগীদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। আন্তর্জাতিক মঞ্চের উচিত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা। ভারতে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।’’

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কথা উল্লেখ করে পাকিস্তান প্রশ্ন তোলে, রামমন্দির তৈরির অনুমতি কী ভাবে দিল ভারত সরকার বা ভারতের বিচার ব্যবস্থা? বিষয়টিকে ‘ধর্মীয় বৈষম্য’ বলে দাবি করে শাহবাজ় শরিফের সরকার। ভারত তারিকের মন্তব্যের সমালোচনা করে রণধীর জানান, অন্যকে জ্ঞান দেওয়ার নৈতিক অধিকার নেই পাকিস্তানের। তাদের দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বা নির্যাতনের ঘটনার ‘কলঙ্কিত রেকর্ড’ রয়েছে।

Advertisement
আরও পড়ুন