Flash Flood in Himachal Pradesh

উত্তরাখণ্ডের পর হড়পা বান হিমাচলেও! ধস নেমে বন্ধ চণ্ডীগড়-শিমলা জাতীয় সড়ক, টানা বৃষ্টিতে বিপদ বাড়ছে

এ বার হড়পা বানের খাড়া প্রথম নামে উত্তরাখণ্ডের ধরালী গ্রামের উপর। তার পর জলের তোড় নেমে আসে সুক্খী-সহ আশপাশের গ্রামগুলির উপরে। বুধবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সেক্রেটারি বিনোদকুমার সুমন জানান, আপাতত উত্তরকাশী জুড়ে লাল সতর্কতা জারি থাকবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৫ ১১:২০
ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা।

ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা। ছবি: পিটিআই।

মেঘভাঙা বৃষ্টিতে দুর্যোগ হিমাচল প্রদেশেও। ইতিমধ্যে ধস নেমেছে সে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বুধবার ধসের কারণে শিমলার হাইওয়েও বন্ধ। চরম দুর্ভোগে স্থানীয়েরা।

Advertisement

মঙ্গলবার থেকে বিপদের শুরু উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর ধরালী গ্রামে। মেঘভাঙা বৃষ্টির ফলে আচমকা নেমে আসে হড়পা বান। জলের তোড়ে ভেসে যায় বিস্তীর্ণ লোকালয়। বুধবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলে। জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। উত্তরকাশীর জেলাশাসক প্রশান্ত আর্য জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কিন্তু হড়পা বানে ঠিক কত জন ভেসে গিয়েছেন, সেই সংখ্যা মেলেনি। প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য দিকে, হিমাচল প্রদেশের সোলান জেলা মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। চক্কী মোড়ে হাইওয়ে বন্ধ। বুধবার সকালে ভূমিধসের কারণে চণ্ডীগড়-শিমলা জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধসের কারণে চণ্ডীগড়-মনালী হাইওয়েও বন্ধ।

এ বার হড়পা বানের খাড়া প্রথম নামে উত্তরাখণ্ডের ধরালী গ্রামের উপর। তার পর জলের তোড় নেমে আসে সুক্খী-সহ আশপাশের গ্রামগুলির উপরে। বুধবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সেক্রেটারি বিনোদকুমার সুমন জানান, আপাতত উত্তরকাশী জুড়ে লাল সতর্কতা জারি থাকবে। অন্য দিকে, মেঘভাঙা বৃষ্টির পর হর্ষিল সেনাছাউনি থেকে ১১ জন সেনাকর্মী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে সেনা, পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এয়ারলিফ্‌ট করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তরাখণ্ডে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামীকে ফোন করে পরিস্থিতির খবরাখবর নেন বলে খবর।

বুধবারও বিরাম নেই বৃষ্টির। সেই সঙ্গে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হিমাচলের বেশ কিছু সেতু ভেসে গিয়েছে। এর আগে গত জুন মাসে হড়পা বানে প্রভাবিত হয়েছিল হিমাচলের মন্ডী জেলা। ওই মাসেই কম করে ১৫ বার মেঘভাঙা বৃষ্টি হয়েছে সেখানে। রাজ্যে বৃষ্টি, ধস এবং হড়পা বানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের। মন্ডীতেই সম্ভবত এই মরসুমে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আবার দুর্যোগ ওই জেলায়। বুধবার দোকানপাট বন্ধ।

Advertisement
আরও পড়ুন