Suicide Case in Maharashtra

পণের জন্য জোরাজুরি, মারধরের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে! বিয়ের চার মাসের মধ্যেই আত্মঘাতী যুবতী

অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবতী। এই ঘটনায় মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৫২
Maharashtra woman dies over dowry harassment months after marriage

মৃত যুবতী ময়ূরী গৌরব থোসা। ছবি: সংগৃহীত।

পণের দাবিতে এ বার বধূ নির্যাতনের অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রে। মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ময়ূরী গৌরব থোসার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য তাঁকে চাপ দিতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনও করা হত বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির ক্রমাগত হয়রানির শিকার হন ময়ূরী। বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। দাবি ময়ূরীর বাপের বাড়ির।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে নানা ভাবে ময়ূরীকে অত্যাচার করতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। যৌতুক হিসাবে নগদ দাবি করতেন তাঁরা। এই নিয়ে বার কয়েক মধ্যস্থতার চেষ্টা করেছিলেন ময়ূরীর বাপের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু কখনও কোনও সমাধান সূত্র বার হয়নি।

অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লাগাতার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ময়ূরী। এই ঘটনায় ময়ূরীর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। তবে ময়ূরীর পরিবারের দাবি, অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক শ্বশুরবাড়ির লোকেদের। নেওয়া হোক কঠোর ব্যবস্থা। যতক্ষণ পর্যন্ত না অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ময়নাতদন্ত করা যাবে না। পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআর দায়ের না-হলেও তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

সম্প্রতি পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশে। নয়ডায় পণের দাবিতে এক বধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। দাবি মতো পণ না-পেয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। এ বার মহারাষ্ট্রে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।

Advertisement
আরও পড়ুন