Manipur Unrest

বড়দিনের আগে মণিপুরে নতুন করে হিংসা, ঘরে ফিরে আসা গ্রামবাসীদের নিশানা করে গুলি চালাল জঙ্গিরা

২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩:১৮
মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী।

মণিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী। —ফাইল চিত্র।

নতুন করে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপির তৎপরতার মধ্যেই আবার হিংসা ছড়াল মণিপুরে। মঙ্গলবার ইম্ফল উপত্যকার বিষ্ণুপুর জেলায় তোরবাং এবং ফুগাকচাও ইখাই এলাকায় কয়েকটি গ্রাম লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

তোরবাং এবং ফুগাকচাও ইখাই এলাকা পাহাড়ি জেলা চূড়াচাঁদপুরের সীমানাবর্তী। পাহাড় থেকেই কুকি জঙ্গিরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি পাহাড়-লাগোয়া সমতলের তোরবাং এবং ফুগাকচাও ইখাই এলাকায় ৩৮৯ জন ঘরছাড়া বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁদের ভীতসন্ত্রস্ত করার উদ্দেশেই এই হামলা বলে বিষ্ণুপুর জেলা পুলিশের দাবি।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। পরবর্তী সময়ে হাই কোর্ট নির্দেশ প্রত্যাহার করলেও গোষ্ঠীহিংসা চলে টানা দু’বছরেরও বেশি।

মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। হিংসা শুরুর ২১ মাস পরে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ইস্তফা দিয়েছিলেন। এর পরেই কেন্দ্র মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে। গত অগস্ট মাসে সংসদে বিল এনে সেই রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন করে সরকার গড়ার তৎপরতা শুরু করেছে বিজেপি শিবির।

Advertisement
আরও পড়ুন