Yogi Adityanath

ব্রাহ্মণদের বৈঠকে চিন্তায় আদিত্যনাথ

গত সন্ধ্যায় বিজেপির কুশিনগরের বিধায়ক পঞ্চানন্দ পাঠকের লখনউয়ের বাড়িতে ওই বৈঠক বসেছিল। বৈঠকে ছিলেন প্রায় জনা পঞ্চাশেক বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কের ডাকা বৈঠকে ছিলেন অন্য দলের ব্রাহ্মণ বিধায়কেরাও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৯:৪০
যোগী আদিত্যনাথ।

যোগী আদিত্যনাথ। — ফাইল চিত্র।

প্রথমে ঠাকুর সমাজ এবং গতকাল ব্রাহ্মণ সমাজের বিধায়কদের বৈঠক বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলল যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। বিরোধী সমাজবাদী পার্টি নেতৃত্বের বক্তব্য, নিজেদের স্বার্থের দাবিতে এখন আন্দোলনে নামতে হচ্ছে ব্রাহ্মণ সমাজকে।

গত সন্ধ্যায় বিজেপির কুশিনগরের বিধায়ক পঞ্চানন্দ পাঠকের লখনউয়ের বাড়িতে ওই বৈঠক বসেছিল। বৈঠকে ছিলেন প্রায় জনা পঞ্চাশেক বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কের ডাকা বৈঠকে ছিলেন অন্য দলের ব্রাহ্মণ বিধায়কেরাও। তাই গতকালের বৈঠককে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ব্রাহ্মণ সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে বলে দাবি করছেন পঞ্চানন্দরা।

রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ৮ থেকে ১০ শতাংশ ব্রাহ্মণ ভোট রয়েছে। রাজ্যের প্রায় ১১০টি আসনে অর্থাৎ রাজ্যের প্রায় সিকিভাগ আসনে ব্রাহ্মণেরা নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে গণ্য হন। রাজ্যে প্রায় ১২টি জেলায় ব্রাহ্মণদের জনসংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি। কিন্তু রাজনীতিকদের মতে, সদ্য কুর্মি নেতা পঙ্কজ চৌধুরী বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। যার ফলে আগামী দিনে রাজ্যে তাঁদের প্রতিপত্তি আরও হ্রাস পেতে চলেছে বলেই মনে করছে ব্রাহ্মণ সমাজ। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ব্রাহ্মণ সমাজের প্রায় ৮৯ শতাংশ ভোট বিজেপি পেয়েছিল। মূলত সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মন্ত্রিসভা-প্রশাসন ও অন্যান্য উঁচু পদে ব্রাহ্মণ প্রতিনিধিদের হার কী ভাবে বাড়ানো যায়, কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উপরে চাপ বাড়ানো সম্ভব, তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। ওই বৈঠক প্রসঙ্গে এসপি বিধায়ক সন্দীপ পটেল বলেন, ‘‘সরকার তৈরি করলেও ক্ষমতা ব্রাহ্মণদের হাতে থাকে না। মুখ্যমন্ত্রী বিধায়কদের কথা শুনছেন না। তাই বিধায়কদের এ ভাবে বৈঠক করতে হচ্ছে।’’

বিজেপির অন্তর্কলহকে উস্কে দিয়েছেন এসপি নেতা অখিলেশ যাদব। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছেন সাত বারের সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরী। অখিলেশ বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতি ইতিমধ্যেই সদ্য জাতীয় কার্যকরী সভাপতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের আভাস দিয়েছেন। কারণ, পাঁচ বারের বিধায়ককে জাতীয় কার্যকরী সভাপতি করে প্রবীণ রাজ্য সভাপতিকে যে অপমান করা হয়েছে তা তিনি পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন।...বর্তমানে একাধিক সমাজের প্রতিনিধিরা উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু যে বৈশ্য সমাজ এক সময়ে বিজেপিকে অর্থ ও অন্যান্য সাহায্য দিয়ে গড়ে তুলেছিল তাঁদের আজ দলে কোনও প্রতিনিধিত্ব নেই। এমনকি জিএসটি-র ধাক্কায় বৈশ্য সম্প্রদায়ের ব্যবসাতেও মন্দা। তাঁদের সন্তানেরা চাকরি পর্যন্ত পাচ্ছেন না। কারণ, চাকরি দেওয়া বিজেপিরলক্ষ্য নয়।’’

আরও পড়ুন