Abhishek Banerjee

অনলাইন প্রতারণার পরিসংখ্যান ও সমাধান নিয়ে সংসদে ৪ প্রশ্ন অভিষেকের! জবাবে কী জানাল মোদী সরকার

ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেন এখন প্রায় সর্বত্র। আর সেই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকেরা। থানায় ভূরি ভূরি ইউপিআই প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ছে। সেই সংক্রান্ত কিছু বিষয় সংসদে তুলেছেন অভিষেক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:০৫
Ministry of Finance answer Abhishek Banerjee\\\\\\\'s UPI Fraud Cases Resolved related queries

(বাঁ দিকে) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দিনের পর দিন বাড়ছে অনলাইন প্রতারণা! ইউপিআই-এর মাধ্যমে লেনদেন এখন প্রায় সর্বত্র। আর সেই সুযোগই কাজে লাগাচ্ছে প্রতারকেরা। থানায় ভূরি ভূরি ইউপিআই প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে নয়! অনেক প্রতারিতই খোওয়া যাওয়া টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এ বার লোকসভায় এই ইউপিআই প্রতারণা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছে এই সংক্রান্ত চারটি প্রশ্ন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূলের লোকসভার নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিল অর্থ মন্ত্রক।

Advertisement

কী কী প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক?

দেশ জুড়ে বাড়ছে ইউপিআই প্রতারণা। সাত দিনে এবং ৩০ দিনে রাজ্যভিত্তিক কত অভিযোগের সমাধান হয়েছে? কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান অভিষেক। শুধু তা-ই নয়, কত শতাংশ ‘চার্জব্যাক’ (যদি কোনও গ্রাহক তাঁর ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন নিয়ে আপত্তি তোলেন তা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কই সেই টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু করে। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়াকেই চার্জব্যাক বলা হয়) বিষয়ে গ্রাহকদের দাবি মিটেছে, তা-ও জানতে চান ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেকের তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, প্রতারণা মামলা সমাধানে ব্যাঙ্কগুলি কতটা কার্যকারী ভূমিকা নিয়েছে, তার তুল্যমূল্য হিসাব কী? এ ছাড়াও, ‘ইউপিআই মাইক্রো-ডেটা’ প্রকাশের সময়সীমা কত, তা-ও জানতে চাওয়া হয়।

অভিষেকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরি। সাত দিন এবং ৩০ দিনের মধ্যে রাজ্যভিত্তিক ইউপিআই প্রতারণার সমাধান নিয়ে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) বা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) দেওয়া ব্যাখ্যার উল্লেখ করেন পঙ্কজ। তিনি জানান, রাজ্যভিত্তিক ইউপিআই প্রতারণার কোনও তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। তবে চলতি বছরের এপ্রিল-সেপ্টম্বর সময়কালে কত অভিযোগ সমাধান হয়েছে, তার তথ্য দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে ২২ শতাংশ প্রতারণার অভিযোগ সমাধান হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়েছে ৯২ শতাংশ।

মন্ত্রক জানিয়েছে, ৬ শতাংশ চার্জব্যাক সফল ভাবে পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়াও, ‘ইউপিআই মাইক্রো-ডেটা’ প্রকাশের সময়সীমা সংক্রান্ত প্রশ্নে অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, তা সরকারি ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়। প্রতারণা মামলা সমাধানে ব্যাঙ্কভিত্তিক হিসাবও দিয়েছে কেন্দ্র। ইয়েস ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে চার্জব্যাক অভিযোগ জমা পড়েছে ১৫ শতাংশ। গ্রাহকদের কাছে ১৮ শতাংশ ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এক্সিস ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই হিসাব যথাক্রমে ১২ এবং আড়াই শতাংশ। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে ৮ এবং ১ শতাংশ। এয়ারটেল পেমেন্টস ব্যাঙ্ক লিমিটেডের ক্ষেত্রে ৬ এবং ৯ শতাংশ। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৪ এবং ১১ শতাংশ। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রের হিসাবটি ৩ এবং ২২ শতাংশ। ব্যাঙ্ক অফ বরোদার ক্ষেত্রে ৩ এবং ০.৬ শতাংশ। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৩ এবং ০.৪ শতাংশ। এ ছাড়াও সাতটি বেসকরকারি আর্থিক সংস্থার হিসাব দিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement
আরও পড়ুন