NISAR

ইতিহাস গড়ল ‘নিসার’

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কিংবা দিন-রাত নির্বিশেষে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উচ্চমানের ছবি তুলবে কৃত্রিম উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের আশা, বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, কৃষি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৫ ০৮:০২
প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ করবে নিসার।

প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ করবে নিসার। ছবি: পিটিআই।

বুধের বিকেলে মহাকাশে রওনা হল ‘নিসার’। ভারতের ইসরো এবং আমেরিকার নাসার প্রথম যৌথ উদ্যোগে তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ ‘নিসার’ গড়ল ইতিহাস। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা কিংবা দিন-রাত নির্বিশেষে মহাকাশ থেকে পৃথিবীর উচ্চমানের ছবি তুলবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ। বিজ্ঞানীদের আশা, বিশ্বের জলবায়ুর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, কৃষি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিসার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ইসরো এক্স-এ ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখেছে, ‘উৎক্ষেপণ। আমরা উৎক্ষেপণ করেছি! নিসারকে সঙ্গে নিয়ে জিএসএলভি-এফ১৬ সফল ভাবে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে’।

পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, এ দিন বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে জিএসএলভি-১৬ রকেট নিসার-কে নিয়ে রওনা দেয়। প্রায় ২৮০০ কেজি ওজনের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার অর্থাৎ নিসার উপগ্রহটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৪০ কিমি উচ্চতায় পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপিত হবে। এটি ২৪ ঘণ্টা ধরে ২৪২ কিমি এলাকা জুড়ে নজরদারি চালিয়ে, ভূপৃষ্ঠের মাটি, তুষার এবং বাস্তুতন্ত্রে নজর রাখবে। উৎক্ষেপণের প্রথম ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ করবে নিসার। এর পরে প্রতি ১২ দিন অন্তর এটি পৃথিবীকে মহাকাশ থেকেপর্যবেক্ষণ করবে।

আরও পড়ুন