Myanmar Rebels

গুলির লড়াই মায়ানমার সীমান্তে! অসম রাইফেল্‌সের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ বিদ্রোহীর মৃত্যুর অভিযোগ

২০২৩ সালের নভেম্বরে মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। পরবর্তীকালে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও আধডজন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৫ ১৬:৫৩
Panic as India-Myanmar Border as Indian forces allegedly kill anti Junta rebels

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের আঁচ এ বার উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্তে। ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের বিরোধী বিদ্রোহী জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়ান্স’-এর অন্তত ১০ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা দাবি করেছে।

Advertisement

মায়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাওয়াদি’ও কয়েক দিন আগে একই দাবি করেছিল। তারা জানিয়েছিল, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম সাগিয়াং প্রদেশের তামু জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতীয় আধাসেনা অসম রাইফেল্‌সের গুলিতে বিদ্রোহী বাহিনী ‘পিপল্‌স ডিফেন্স ফোর্স’-এর ১০ যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ বার তারা নিহতদের ছবি, পরিচয় এবং শেষকৃত্যের ছবি প্রকাশিত করছে। ঘটনার জেলে তামু সীমান্তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে আজ জাজ়িরায় প্রকাশিত খবরে দাবি।

তবে সরকারের তরফে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বাহিনী অসম রাইফেল্‌সের উপরেই মায়ানমার সীমান্তের সুরক্ষা ও নজরদারির দায়িত্ব রয়েছে। সাগিয়াং প্রদেশের সঙ্গে ভারতের মণিপুর, মিজ়োরাম এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত রয়েছে। তামু জেলার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে মণিপুরের জনজাতি অধ্যুষিত চান্দেল জেলার। মায়ানমারের সেনার বিরুদ্ধে হামলা চালাতে বিদ্রোহী জোটের বাহিনী চান্দেল জেলাকে আশ্রয় এবং রসদ সরবরাহের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ।

Advertisement
আরও পড়ুন