Russia-Ukraine Conflict

‘শান্তি নষ্ট করে এমন কাজ এড়িয়ে চলুন’! পুতিনের বাসভবনে হামলার চেষ্টার নিন্দা করলেন মোদীও

রুশ প্রশাসনের দাবি, নভগরেড এলাকায় পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেনীয় সেনা। তবে রুশ প্রশাসনের এই অভিযোগ মানতে নারাজ জ়েলেনস্কি। তিনি এই ধরনের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৯
PM Narendra Modi condemns attack on Vladimir Putin\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s residence

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন ক্রেমলিনে হামলার চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল আন্তর্জাতিক মহলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এ বার ওই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন পুতিনের ‘বন্ধু’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চান, তা আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। জানান, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাতেই শান্তি ফিরবে। মোদীর পরামর্শ, শান্তি নষ্ট করে এমন কিছু করা উচিত নয়।

Advertisement

মঙ্গলবার এক্স পোস্টে মোদী লেখেন, ‘‘রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলার খবরে গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই শত্রুতার অবসান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর পথ। সংশ্লিষ্ট সকলকে এই প্রচেষ্টায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান করছি।’’ একই সঙ্গে মোদীর পরামর্শ, এই প্রচেষ্টাকে দুর্বল করতে পারে এমন যে কোনও পদক্ষেপ এড়িয়ে চলতে হবে!

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানোর অবিরাম চেষ্টা চলছে। দফায় দফায় মধ্যস্থতার চেষ্টা করেও এই সংঘর্ষ থামাতে পারেননি ট্রাম্প। আবার নতুন উদ্যমে যুদ্ধ থামানোর জন্য দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকও করেন। পাশাপাশি, রফাসূত্র খুঁজতে ফোনে দফায় দফায় কথা বলেন পুতিনের সঙ্গেও। তবে তার মধ্যেই পুতিনের বাসভবনে ইউক্রেন হামলার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তোলে রাশিয়া।

রুশ প্রশাসনের দাবি, সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) নভগরেড এলাকায় পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেনীয় সেনা। একটা-দুটো নয়, একসঙ্গে নাকি ৯১টি দূরপাল্লার ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা হয়েছিল। যদিও রুশ সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি হামলাকে রুখে দিয়েছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি ক্রেমলিনের। তবে রুশ প্রশাসনের এই অভিযোগ মানতে নারাজ জ়েলেনস্কি। তিনি এই ধরনের অভিযোগকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর পাল্টা দাবি, কিভের সরকারি ভবনগুলিতে হামলা করার ‘অজুহাত’ খুঁজছে মস্কো।

Advertisement
আরও পড়ুন