New Delhi Railway Station Stampede

কী কারণে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা? উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ল রেল, সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশ

নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সমান্তরাল ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশও। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৬
পদপিষ্টের ঘটনায় স্বজন হারিয়েছেন। নয়াদিল্লি স্টেশনে বসে এক মহিলা।

পদপিষ্টের ঘটনায় স্বজন হারিয়েছেন। নয়াদিল্লি স্টেশনে বসে এক মহিলা। ছবি: পিটিআই।

নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতের এই ঘটনার নেপথ্যে কোন কারণ, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেল। কী কারণে পদপিষ্টের ঘটনা, দুই সদস্যের এই কমিটি তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেবে।

Advertisement

অন্য দিকে, পদপিষ্টের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সমান্তরাল ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশও। খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্টেশনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। এই প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “কী কারণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ-সহ সব তথ্য খতিয়ে দেখছি। সেই সময় স্টেশনে কী ঘোষণা করা হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পদপিষ্টের ঘটনা ঘটার আগে নয়াদিল্লি স্টেশনে ট্রেন সম্পর্কিত ভুল ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। শনিবার দুপুর থেকেই প্রয়াগরাজের ট্রেনের জন্য নয়াদিল্লি স্টেশনে চাহিদা ছিল প্রচুর। ১৪ এবং ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ওভারব্রিজে যাত্রীদের ঠাসা ভিড় ছিল। প্রায় সবাই প্রয়াগরাজমুখী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। আচমকাই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ওভারব্রিজ দিয়ে নামতে শুরু করে যাত্রীদের ভিড়। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা।

শনিবারের পদপিষ্টের ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভিড়ের ঠেলায় যাঁরা পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের মাড়িয়েই বাকিরা ট্রেন ধরতে এগিয়ে যান। চেষ্টা করেও কেউ কাউকে সাহায্য করতে পারেননি। এই ঘটনায় রাতেই শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার সকালে রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যাঁদের আঘাত গুরুতর, তাঁরা আড়াই লক্ষ টাকা করে পাবেন। যাঁদের আঘাত গুরুতর নয়, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement
আরও পড়ুন