New Delhi Railway Station Stampede

কী কারণে পদপিষ্টের ঘটনা নয়াদিল্লি স্টেশনে? রিপোর্ট জমা দিল আরপিএফ, রেলের দাবিকেই নস্যাৎ

নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার নেপথ্যে কোন কারণ, তা জানিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল আরপিএফ। রিপোর্টটি তৈরি করেছেন আরপিএফের ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৩
ভিড় ট্রেনে যাত্রীদের তুলে দিচ্ছেন আরপিএফ কর্মীরা।

ভিড় ট্রেনে যাত্রীদের তুলে দিচ্ছেন আরপিএফ কর্মীরা। ছবি: পিটিআই।

নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্টের ঘটনার নেপথ্যে কোন কারণ, তা জানিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল আরপিএফ। রিপোর্টটি তৈরি করেছেন আরপিএফের ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসার। রিপোর্টে যা বলা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তা রেলের দাবিকেই খণ্ডন করছে।

Advertisement

‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ তাদের প্রতিবেদনে এই রিপোর্ট উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ঘোষণা করা হয়, নয়াদিল্লি স্টেশনের ১২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রয়াগরাজমুখী কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন আসছে। কিন্তু কিছু সময় পরে বলা হয় ট্রেনটি ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসছে। প্রতিবেদনে রিপোর্ট উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে যে, ওই সময়েই নয়াদিল্লি স্টেশনের ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল মগধ এক্সপ্রেস। আর ১৫ নম্বরে উত্তর সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস। অন্য দিকে, প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ধরার জন্য ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক মানুষ।

কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন আসার ঘোষণা হওয়ার পরেই ১২-১৩ এবং ১৪-১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ওভারব্রিজে ওঠার চেষ্টা করেন যাত্রীদের একাংশ। একই সময়ে দু’টি ওভারব্রিজের সিঁড়ি ধরে নামছিলেন মগধ এক্সপ্রেস, উত্তর সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস এবং প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেসের যাত্রীরা। হুড়োহুড়ির মধ্যে অনেকেই সিঁড়িতে পড়ে যান। কেউ কেউ চোটও পান। আহত যাত্রীদের মাড়িয়েই দৌড়োদৌড়ি শুরু করে দেন অন্য যাত্রীরা।

এর আগে রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, পদপিষ্টের ঘটনার নেপথ্যে কোনও ভুল ঘোষণা ছিল না। আরপিএফের দেওয়া রিপোর্টে অবশ্য ইঙ্গিত, প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত ভুল ঘোষণার জেরে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। নয়াদিল্লি স্টেশন উত্তর রেলের নিয়ন্ত্রণাধীন। উত্তর রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশুশেখর উপাধ্যায় বলেন, “একাধিক বিভাগকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। আরপিএফ তাদের মধ্যে অন্যতম। সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর রেলের উচ্চপর্যায়ের কমিটি সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

Advertisement
আরও পড়ুন