তাইল্যান্ড থেকে ভারতে ফেরানো হচ্ছে সৌরভ ও গৌরব লুথরাকে। ছবি: সংগৃহীত।
অগ্নিকাণ্ডের ১০ দিন পর অবশেষে তাইল্যান্ড থেকে ভারতে ফেরানো হচ্ছে গোয়ার পুড়ে যাওয়া সেই নৈশক্লাবের দুই মালিক সৌরভ ও গৌরব লুথরাকে। ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার বেলা দেড়টা নাগাদ লুথরা ভ্রাতৃদ্বয়কে তাইল্যান্ড থেকে বিমানে তোলা হবে। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতে পৌঁছে যাবেন তাঁরা।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরে আনা হয়েছে লুথরা ভাইদের। বেলা ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ইন্ডিগোর ৬ই১০৬৪ বিমানে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবেন তাঁরা। আকাশপথে তাইল্যান্ড থেকে ভারতে আসতে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে বিকেলের মধ্যেই ভারতে পৌঁছে যাবেন লুথরা ভাইয়েরা। দেশে নামামাত্র পূর্ববর্তী লুক আউট সার্কুলারের শর্ত অনুযায়ী তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। হাজির করানো হবে দিল্লির পটীয়ালা হাউস কোর্টে। তার পর তাঁদেরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
গত ৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে গোয়ার বাগা সমুদ্রসৈকতে আরপোরার নৈশক্লাব ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’-এ অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যু হয়। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারত ছেড়ে পালান সৌরভ ও গৌরব। তদন্তে জানা যায়, সেই রাতেই ইন্ডিগোর বিমানে তাইল্যান্ডে চলে গিয়েছেন তাঁরা। তার পর থেকেই তাঁদের ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। দুই ভাইয়ের খোঁজে প্রথমে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয় গোয়া পুলিশ। ইন্টারপোলের তরফে লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হয়। গোয়া পুলিশও লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করে। এর মাঝে আবার ব্যাঙ্ককের ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ করে তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সেই কাজে তাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষও পূর্ণ সহযোগিতা করেন। প্রথমে দুই অভিযুক্তের পাসপোর্ট ও ভিসা বাতিল করা হয়। তার পর ৯ ডিসেম্বর ফুকেতের একটি হোটেল থেকে তাঁদের আটক করে তাইল্যান্ডের অভিবাসন দফতর।
তদন্তকারীদের সূত্র উদ্ধৃত করে গোয়া পুলিশ জানিয়েছে, ফুকেতে লুথরা ভাইয়েরা যে হোটেলে উঠেছিলেন, তার বাইরে শুরু হয়েছিল পুলিশি নজরদারি। কিন্ত খাবার নিতে একবার হোটেলের বাইরে পা রাখতে হয়েছিল দুই ভাইকে। তখনই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের ফুকেত থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যাঙ্ককে। তাইল্যান্ডে থাকাকালীন দিল্লির এক আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন সৌরভ ও গৌরব। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। অন্য দিকে, ওই নৈশক্লাবের তৃতীয় মালিক অজয় গুপ্তকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। আপাতত পুলিশি হেফাজতেই রয়েছেন তিনি।