Jammu and Kashmir Police Stattion Explosion

শ্রীনগরের থানায় মৃত বেড়ে ৯! অধিকাংশই পুলিশ ও ফরেন্সিক কর্তা, বাজেয়াপ্ত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটে কী ভাবে বিস্ফোরণ?

হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। তা রাখা ছিল নওগাম থানায়। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:০৫
শ্রীনগরের নওগাম থানায় বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরক পদার্থে বিস্ফোরণ। শুক্রবার রাতে।

শ্রীনগরের নওগাম থানায় বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরক পদার্থে বিস্ফোরণ। শুক্রবার রাতে। ছবি: এক্স।

জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীগনগরের নওগাম থানায় শুক্রবার রাতের বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়। অধিকাংশই পুলিশ এবং ফরেন্সিক দলের আধিকারিক। আহত অন্তত ২৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে আরও কয়েক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। সংবাদ সংস্থা পিটিআই ন’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

Advertisement

কিছু দিন আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উভয় ক্ষেত্রে যথাক্রমে হরিয়ানা পুলিশ এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় তল্লাশি চলেছে। উত্তর ভারতের এই অভিযান থেকে মোট ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। তাতে ছিল বোমা তৈরির মশলা এবং অস্ত্রশস্ত্র। শুধু ফরিদাবাদ থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। পরীক্ষার জন্য তা কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাখা হয়েছিল নওগাম থানায়। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

বাজেয়াপ্ত করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পরীক্ষা করে দেখতে নওগাম থানায় বেশ কয়েক জন ফরেন্সিক আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। ঠিক কী কারণে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, গাফিলতি কার, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই বিস্ফোরক পদার্থগুলিই দিল্লির লালকেল্লার সামনের বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান। যে গাড়িটি দিল্লির বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি ফরিদাবাদ থেকেই এসেছিল।

নওগাম থানার ঘটনায় আহতদের ভারতীয় সেনার ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করানো হয়েছে। নওগামের ঘটনাস্থলে রাতেই পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে।

দিল্লির বিস্ফোরণের সঙ্গে যে জঙ্গি-যোগ পাওয়া গিয়েছে, নওগাম থানার পুলিশই তা প্রথম খুঁজে বার করে। শ্রীনগরের রাস্তায় এক চিকিৎসককে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটতে দেখা গিয়েছিল। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ঘেঁটে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই চিকিৎসক আদিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফরিদাবাদে মজুত বিস্ফোরকের সন্ধান পান তদন্তকারীরা।

Advertisement
আরও পড়ুন