উত্তরপ্রদেশে কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় দুর্ঘটনা। সাতটি বাস এবং তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ হয় মঙ্গলবার ভোরে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘন কুয়াশায় ঘেরা রাস্তায় ফের একের পর এক গাড়ির ধাক্কা উত্তরপ্রদেশে। এ বার দিল্লি-আগরা এক্সপ্রেসওয়েতে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, অন্তত সাতটি বাস এবং তিনটি গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছে। দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কয়েক দিন আগে উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতেও একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে দিল্লি এবং রাজধানী সংলগ্ন উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কুয়াশার ঘন আস্তরণ ছিল। দৃশ্যমানতাও অনেক কমে গিয়েছিল। রাস্তায় বেরোলে দশ পা দূরে কী রয়েছে, তা ঠাহর করতে পারা যাচ্ছিল না। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ার কারণেই দিল্লি-আগরা এক্সপ্রেসওয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সংঘর্ষের পরে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তাতে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে স্থানীয় থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিনিয়র পুলিশ সুপার শ্লোক কুমার জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫। প্রাথমিক ভাবে তিনি চার জনের মৃত্যুর খবর জানান। পরে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৩।
নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। জানা যাচ্ছে, সংঘর্ষের পরক্ষণেই কয়েকটি বাস এবং গাড়িতে আগুন ধরে যায়। তবে আগুনে ঝলসে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা পুলিশের তরফে এখনও জানানো হয়নি। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। তাঁরা গাড়িগুলিতে আগুন নেবানোর চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং পুলিশেও। পরে দমকলকর্মীরা ওই গাড়িগুলি থেকে আহতদের উদ্ধার করেন। তাঁদের মথুরা এবং সংলগ্ন অন্য এলাকার কিছু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
গত শনিবার সকালের দিকে নয়ডায় ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে বা কুন্ডলি-গাজিয়াবাদ-পালওয়াল এক্সপ্রেসওয়েতেও একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। দৃশ্যমানতা হ্রাস পাওয়ায় একের পর এক গাড়ির সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনাস্থলের যে ভিডিয়োগুলি প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে দেখা যায় একটি সাদা রঙের গাড়ি ডিভাইডারে উঠে গিয়েছে। গাড়িটির বনেট ক্ষতিগ্রস্ত। ঠিক তার পাশেই একটি ট্রাক দাঁড়িয়ে এবং আরও একটি গাড়ি ওই ট্রাকের নীচে আটকে ছিল। গত সপ্তাহের ওই দুর্ঘটনার পরে মঙ্গলবার ফের দৃশ্যমানতা কম থাকার জেরে সংঘর্ষ হল একের পর এক গাড়ির।